কাননে কুসুম কলি-চার

ছবি: প্রথম আলো
ছবি: প্রথম আলো

কুসুমকলিদের শিখন-শিক্ষণের দুই মূল উপাদানের মধ্যে শিক্ষক অতি অনিবার্য এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই শিক্ষক তাঁর মেধা, প্রতিভা, জ্ঞান ও দক্ষতায় কেমন হবেন, তার একটা রূপরেখা ও কাঠামো সরকারিভাবে নির্ধারিত থাকে সব দেশেই। এখানেও তেমন রয়েছে।

শিক্ষকের জ্ঞানদক্ষতার সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার যে সম্বন্ধ, তা কতগুলো নীতিমালা দিয়ে পরিচালিত হয়। সেসব নীতিমালার মূল আবর্তিত হয় একটি বেদবাক্য দিয়ে—best interest of child. শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থই সকল নীতিমালার সারকথা। শিশুর স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়—শিক্ষক অবশ্যই তেমন আচরণ করবেন না। গোটা ব্যবস্থাটাই সেই আলোকে আবর্তিত হবে। সেটাই প্রত্যাশিত ও বিধিত।

এ ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা কিছুমাত্র কম মেধাবী হলেও ক্ষতি নেই। তবে তাঁদের মননশীল মানুষ হতে হবে। তাঁদের শিক্ষার্থীর কাছে রোল মডেল হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই এ দেশে।

কেবল শ্রেণিশিক্ষকই নন, স্কুলের অন্য কর্মচারী, প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল—সবাই মিলেই একটি বিষয় নিশ্চিত করে থাকেন—শিশুর শারীরিক, মানসিক ও আবেগীয় নিরাপত্তা। এই নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে শিক্ষকেরা কতগুলো সাবধানতা অবলম্বন করে থাকেন। যেমন শিশুর আত্মমর্যাদা লাঘব হয়, শিশু বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে, শিশু লজ্জা পায়, শিশু ভয় পায় ও শিশুর প্রাইভেসি নষ্ট হয় এমন কোনো কথা, কাজ ও আচরণ থেকে শিক্ষকসহ স্কুলের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে মুক্ত রাখাই স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব।

আমরা স্কুল বলতেই বুঝি শিক্ষাদান, পাঠদান, কিছু নিয়মকানুন ও নীতিমালায় জর্জরিত একটি ক্ষুদ্রকায় কারাগার। পাশ্চাত্যে স্কুল মানে শিশুবাগান, ফুলকলিদের আনন্দধাম ও শিশুমেলা। স্কুলে শিশুকে শিক্ষাদানের কাজটি মূল হলেও শিশুকে পরিপূর্ণ মানুষ বিবেচনায় রেখে সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি আবর্তিত হয়। best interest of child–এর এই মূল নীতিকে বিশ্লেষণ করলে child centered, child friendly, child interest, liking-disliking of child, child minde জাতীয় কতগুলো প্রপঞ্চ এসে হাজির হয়। যেসব প্রপঞ্চ মাথায় রেখেই শিক্ষাক্রম, পাঠক্রম, মূল্যায়ন ও সর্বোপরি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর এটি গোটা শিক্ষাব্যবস্থার একটি বিশেষ প্রক্রিয়ারই নামান্তর। এটি অতি অবশ্যই এই দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কিংবা পদ্ধতির সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গক্রমেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের শিক্ষালয়ে (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিক্ষকের ভূমিকার বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। আমাদের শিক্ষকদের দায়িত্ব, জবাবদিহির ক্ষেত্রে শিশুর নিরাপত্তাবিষয়ক কোনো কাজ বা আচরণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি? আমাদের শিশুরা শিক্ষকের হাতে নির্যাতিত হলে শিক্ষক কি সাজাপ্রাপ্ত বা চাকরিচ্যুত হন? দুঃখজনক সত্য হলো, আমরা তেমন সমাজ তৈরি করতে পারিনি, যেখানে শিশুর জীবন, বেড়ে ওঠায় শিক্ষকের ভূমিকাকে আমরা উজ্জ্বলতর করে দেখতে পারি। যদিও ১৯৯০ সালেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছে। শিশু অধিকার সনদের ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কোনো শিশুই নির্যাতন বা নৃশংস অমানবিক মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির শিকার হবে না।’ রাষ্ট্র সেই দায় নিয়েই শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছিল।

এ ছাড়া ২০০৮ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদে ৩–এ বলা হয়েছে, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু নির্যাতন বন্ধে দেশের প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে।’ অর্থাৎ, দেশের প্রচলিত বিধান অনুযায়ীই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শিশু নির্যাতন আইনের আওতাভুক্ত হবেন। এখানেও রাষ্ট্রই নিজ স্কন্ধে সেই দায় নিয়ে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করবে মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের সমাজে এসব চুক্তিনামা, সুন্দর সুন্দর আইন কেবল নথিভুক্তই করে রেখেছি, বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি তারা আর।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শিক্ষাব্যবস্থায় মূল্যায়ন অর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এ দেশের মূল্যায়ন পদ্ধতিও চমৎকার। ভীতিকর পরীক্ষার চাপ, গাদা গাদা প্রশ্ন মুখস্থ, রাত জেগে চ্যাপটার বাই চ্যাপটার পড়ে সিলেবাস শেষ করার কোনো বালাই–ই নেই এই অদ্ভুত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায়। শিক্ষক প্রতিদিনের ক্লাসের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে স্কোরিং করেন। শিশুরা জানেই না কবে কখন তারা মূল্যায়িত হচ্ছে, কীভাবে তাদের স্কোর নির্ধারিত হচ্ছে। কে প্রথম, কে দ্বিতীয়, কার স্কোর কত বেশি বা কম হচ্ছে। স্কোর যার যতই হোক, এই মূল্যায়নে অতি অবশ্যই সব শিশু নতুন বছরে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়। এমন কোনো ঘটনা ঘটে না, যেখানে কোনো শিশু একই ক্লাসে দ্বিতীয় বছরও পড়ছে কিংবা কেউই জানতে পারে না, কোন শিশু নির্ধারিত বিষয়ে ফেল করেছে কিংবা খুবই খারাপ স্কোর পেয়েছে। তবে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শিশুর বাবা–মায়ের সঙ্গে শ্রেণিশিক্ষক আলোচনা করে থাকেন।

নির্দিষ্ট বয়সে শিশু নির্ধারিত ক্লাসেই পড়বে। যাতে করে তার মানসিক, আবেগীয় বয়সের এবং কার্যক্রমের সাথিদের সঙ্গেই সে তার শিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারে। এক বছর পিছিয়ে গিয়ে সবার চোখে লজ্জাকর পরিস্থিতিতে না পড়ে, সে কারণেই এই ব্যবস্থা। কোনো শিশু নির্ধারিত ক্লাসের সব পাঠ আত্মস্থ করতে না পারলে তাকে বাড়তি সাহায্য প্রদানের জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক থাকেন। তার জন্য টেইলর গ্রেড এডুকেশন প্ল্যান করা হয় শিশুর সামর্থ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে। সেই শিশুর মূল্যায়নও সেই প্ল্যানের আলোকেই করা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখানকার ক্লাসে মেধাতালিকা অনুযায়ী নামের বিন্যাস হয় না। রোল কল হয়ে থাকে শিশুর প্রথম দিনের স্কুলের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী। একটি নম্বরই তার স্কুলজীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্লাসের রোল নম্বর। শিশুর সার্বিক বেড়ে ওঠায় মেধাভিত্তিক ফলাফলের কোনো প্রাধান্য নেই বলেই প্রমাণ করেছেন শিশু মনোবিজ্ঞানীরা। সেই লক্ষ্যে শিশুর রিপোর্ট কার্ড, এমনকি ক্লাস পারফরম্যান্সও অতি গোপনীয় রাখা হয়, যা অন্য সহপাঠীরা জানতে পারে না। অন্য অভিভাবকেরাও জানেন না কোন শিশুটি তাঁর শিশুর চেয়ে ভালো করেছে। সুতরাং সামাজিক স্ট্যাটাসসংক্রান্ত যে চাপ, তা প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগই নেই এদেশীয় মূল্যায়ন পদ্ধতিতে।

যে শিশুটি সব বিষয়ে ভালো ফল করে, সে সবার চোখের মণি। বাকিরা একটু কম গুরুত্বপূর্ণ। এমন চিত্র দেখেই আমরা বড় হয়েছি। স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল হিসেবে সারা জীবন প্রাইজ পেয়ে আত্ম–অহমিকায় ফুলে–ফেঁপে উঠলেও সেদিন আমার প্রতি বন্ধুদের শ্যেন নজর আমার গোচরীভূত হয়নি। তবে শিক্ষক হিসেবে আজ বুঝি, এই দৃশ্য অন্য শিশুদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ইতিবাচক না হয়ে প্রতিযোগিতা হয় ভয়াবহ নেতিবাচক। শিশুদের মধ্য রেষারেষির সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলত সুস্থ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। সুতরাং শিক্ষকদের কর্তব্য হলো, সব শিশুই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ শিখবে, সহযোগিতা-সহমর্মিতার সঙ্গে একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে—এমন শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা। প্রতিদিনের ক্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষকেরা সেটাই করে থাকেন। কাউকে উচ্চ প্রশংসায় ভাসিয়ে দেওয়া কিংবা কাউকে তিরস্কারে নামিয়ে দেওয়া—এর কোনোটিই করেন না এখানকার শিক্ষকেরা।

সম্প্রতি আমার প্রিয় স্বদেশেও শিশুর যোগ্যতা মূল্যায়নে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিলের নির্দেশনা এসেছে। নিঃসন্দেহে এটি আশার কথা। স্তরে স্তরে পাবলিক পরীক্ষার চাপ শিশুর মানসিক বিকাশ যেভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে, তেমনি সামাজিক স্ট্যাটাস–সংক্রান্ত চাপে বাবা-মায়েদের জান জেরবার। যা শিশুর জীবনকেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মতো বিভীষিকাময় যন্ত্রণার দিকে ঠেলে দেয়। তথাপিও এই মূল্যায়নকে ঘিরে আমাদের সমাজে মন্দ প্রতিযোগিতার অন্ত নেই। কোচিং–বাণিজ্য, নোট বই, গাইড বই, প্রশ্নব্যাংক–বাণিজ্য তথা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো কেলেঙ্কারি—সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা খাত ন্যায়নীতির অপপ্রয়োগের এক বিশাল ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অথচ শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক হলেন মানবশিশুর দ্বিতীয় জন্মের আধার। আর শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আমাদের সমাজের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে বুঝতে আর অসুবিধা হয় না যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটাই সমূলে ধ্বংস হয়ে গেছে। পিলারবিহীন ভবনের মতো সেই ধস নেমেছে ভূমিকম্প হয়ে, গ্রাস করেছে টর্নেডো হয়ে। যার আরেক নাম শিশু ধর্ষণ, বলাৎকার ও হত্যা। যদিও এটি এখন সমাজের সর্বস্তরেই মিশে গেছে।

অথচ পাশ্চাত্যের সমাজে শিশুদের অনুমতি ছাড়া শিশুর শরীরে আদরের স্পর্শও দেওয়া যায় না। এমনকি শিশুদের অধিকারভুক্ত কোনো জিনিস শিক্ষকেরা স্পর্শ করতে পারেন না। শিশুদের সেলফ বিলংগিংস ও সেলফ রেসপেক্ট এত বেশি, কোনো শিক্ষক অপ্রাসঙ্গিক কোনো আচরণ করলে (যতই ইতিবাচক হোক না কেন) শিশুরা তৎক্ষণাৎ তার প্রতিবাদ করে। একদিন আমার এক শিক্ষার্থী পরপর তিন দিন রিডিং লগ ভুল করে বাসায় ফেলে আসে। তৃতীয় দিনে আমি তার অনুমতি সাপেক্ষে তার স্কুলব্যাগে রয়ে যেতে পারে ভেবে ব্যাগ খোঁজ করতে গেলে তার এক বন্ধু দেখে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গেই আমায় জিজ্ঞেস করল, তুমি কেন ওর ব্যাগে হাত দিয়েছ? আমি বললাম, তোমার কী সমস্যা? সে আমায় আবার প্রশ্ন করল, তুমি কারও ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দিতে পারো না। আদতেই আমি পারি না, আমি প্রয়োজনেই করেছি এবং অনুমতি সাপেক্ষে। শিশুরা এতটাই সচেতন ও আত্মমর্যাদা বোধে টনটন।

শিশুদের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা, ন্যায্যতা ও সবার প্রতি সমান শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটা অতি দৃঢ়। ওরা স্কুলেই শেখে ‘treat others the way you want to be treated’. এই সত্যটি ওরা হৃদয়ের গভীরেই ধারণ করে। ওদের বন্ধুদের সঙ্গেও কোনো অন্যায় হলে ওরা প্রতিবাদ করে, কথা বলে। দেশীয় আইনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই ওরা সাহায্য চায়। ওরা সরাসরি বলে, না, তুমি শিক্ষক বলেই এটা করতে পারো না, এটা বেআইনি, এটা অন্যায়। এই দৃঢ় হওয়ার প্রত্যয় ওরা ওদের শিক্ষকদের কাছ থেকেই পায়। আবার এই শিশুরাই একদিন বড় হয়ে এই সমাজের বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সুতরাং এই সমাজটা ওদের হাতে ভালোই থাকে।

আমাদের সমাজের শিশুরাও বেড়ে ওঠে নানা বঞ্চনায়, নানা প্রতিকূলতায়, নানা রকম শোষণের মধ্যে। পরিবারে শিশুরা দেখে বাবা-মায়ের মাঝে আস্থাহীন, শ্রদ্ধা-ভালোবাসাহীন সম্পর্ক, বাবার অবৈধ রোজগারের অযাচিত চকমকি। বাবার রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ক্ষমতার দম্ভ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিসের মালামাল আত্মসাৎ, ব্যাংকের সোনা-টাকা লোপাট। পরিবারই যখন শিশুর প্রথম বিদ্যালয়, তখন সেই শিশুরা কীই–বা শিখছে (!) পরিবারে কাছে? স্কুলের শিক্ষকেরা ফাঁকি দিয়ে, প্রাইভেট পড়িয়ে, কিংবা ঘুমিয়ে বেতন নেন, লঘু অপরাধে গুরুদণ্ড দেন। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের এই চক্রাকার অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার যে প্রভাব প্রতিনিয়ত আমাদের শিশুদের ওপরে পড়ছে, তা ওদের কাছে রোল মডেলই হচ্ছে। ফলে ওরাও তাই–ই অনুসরণ করছে। আর এটাই বুঝি আমাদের নিয়তি।

এই ঘূর্ণমান দুষ্টচক্র থেকে একদিন বেরিয়ে আসবে সোনার বাংলাদেশ। আমাদের সন্তানেরাও সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশটাকে। সব জঞ্জাল সাফ করে পিতলের আবরণ থেকে সত্যিকারের কনকচাঁপা ফুটবে একদিন, তেমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের। প্রিয় স্বদেশ, এখনো সময় আছে, জেগে ওঠো…। (চলবে)