Thank you for trying Sticky AMP!!

মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও ঘরেই ছিলেন সৎছেলে

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন ১ নম্বর আসামি এস এম আশিকুর রহমান। তিনি হত্যার শিকার সীমা বেগমের সৎ ছেলে

প্রতীকী ছবি

কাফরুলের সীমা বেগমকে হত্যার পরও ঘরেই ছিলেন সৎছেলে এস এম আশিকুর রহমান ওরফে নাহিদ। প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে তাঁদের সামনে দিয়েই বেরিয়ে যান আশিক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে আশিক হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান মঙ্গলবার প্রথম আলোকে এসব কথা জানান। সীমা বেগমের মৃতদেহ রোববার দুপুরের পর কাফরুল থানার ইমাননগর সমিতির একটি নির্মাণাধীন দশতলা ভবনের সাততলা থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সাত আসামির ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলার ১ নম্বর আসামি এস এম আশিকুর রহমান।

মো. সেলিমুজ্জামান জানান, সাততলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে ওই দিন প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। তার আগে তাঁরাই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ওই সময় আশিক ঘরেই ছিলেন। তাঁদের ধারণা, সীমাকে হত্যার পর প্রায় এক ঘণ্টা ওই ঘরেই ছিলেন আশিক। প্রতিবেশীদের দেখে তিনি সটকে পড়েন। তবে রাতেই আশিক রাজধানীর উত্তরখান থেকে গ্রেপ্তার হন। জিজ্ঞাসাবাদে আশিক বলেন, হত্যাকাণ্ড তিনি একাই ঘটিয়েছেন। এর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিলেন না। পুলিশ তাঁর এই বক্তব্য যাচাই–বাছাই করছে। হত্যার কারণ কী জানতে চাইলে আশিক বলেছেন সৎমায়ের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। সহায়–সম্পত্তি নিয়েও ঝগড়া–বিবাদ লেগেছিল। সহ্য করতে না পেরে তিনি সীমাকে খুন করেন।

এদিকে সীমা বেগমের ভাই হেলাল করিম জানান, ওই মামলায় এজাহারভুক্ত সব আসামিই কাফরুলের বাসায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে তাঁরা একে একে বেরিয়ে যান। তাঁদের সবারই সম্পৃক্ততা আছে। সুষ্ঠু তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।

সোমবার ভোর চারটার দিকে বাদী হয়ে হেলাল করিম কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সীমা বেগমের সৎছেলে নাহিদ শিকদার, নাহিদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, নাহিদের শ্বশুর তারেক উল্লাহ, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, শ্যালক সাকিব, মামাশ্বশুর নাসিরউদ্দিন ও সীমার স্বামী শাহজাহান শিকদার।

Also Read: কাফরুলে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে নারীকে হত্যা

Also Read: ঢাকায় নারীকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার সব আসামি আটক: পুলিশ