কাফরুলে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে নারীকে হত্যা

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কাফরুলে ইমাননগর সমিতি এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে সীমা বেগম নামের এক নারীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসে পুলিশ।

মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাবউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহটি শাহজাহান শিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা বেগমের। তাঁকে কখন পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনো তাঁরা নিশ্চিত নন। তবে রোববার দুপুরের পর মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। মৃত নারীর সৎছেলে তাঁকে কুপিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বলে কেউ কেউ বলেছেন। তাঁরা  শাহজাহান শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শাহজাহান শিকদার একটি কার্টন ফ্যাক্টরির কর্ণধার। ইমাননগর সমিতি এলাকায় একটি ১০তলা ভবনের সাততলায় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা বেগমকে (৩৩) নিয়ে থাকতেন শাহজাহান। দুজনের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। কয়েক মাস আগে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের পাশের ফ্ল্যাটেই শাহজাহান শিকদারের ছেলে থাকেন সস্ত্রীক। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানাচ্ছে, দুই পরিবারের ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। তাঁদের আশঙ্কা, সে কারণেই সীমাকে খুন করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, সীমা বেগমের লাশ বিছানায় উপুড় অবস্থায় ছিল। তাঁর পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের পেছনে দিকে পোড়া ছিল। মৃতদেহের পাশেই একটি লুঙ্গি ছিল। কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার আগে তাঁকে গলায় লুঙ্গি বেঁধে শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা তাঁদের।

রাতে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়নি। সীমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীমার স্বামী শাহজাহান শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর ছেলে ও ছেলের বউ পলাতক।

ভবনের নিরাপত্তারক্ষী আরজ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শাহজাহান শিকদার সকালেই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। বেলা ১১টার দিকে তাঁর ছেলে নাহিদ শিকদার, এর কিছুক্ষণ পর নাহিদ শিকদারের স্ত্রীও বের হয়ে যান।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশ উদ্ধার ও আলামত জব্দের পর পুলিশ ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে রেখে গেছে।