ঢাকায় নারীকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার সব আসামি আটক: পুলিশ

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কাফরুলে সীমা বেগম নামের নারীকে হত্যার ঘটনায় সব আসামিকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দীন আজ সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

মাহতাব উদ্দীন বলেন, ‘সীমার পরিবারের পক্ষ থেকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

তবে সীমার পরিবারের দাবি, সাত আসামির মধ্যে ছয়জনকে ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। একজন এখনো পলাতক।

গতকাল রোববার দুপুরের দিকে কাফরুলের নির্মাণাধীন একটি ১০ তলা ভবনের সাততলা থেকে সীমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, সীমাকে শ্বাসরোধের পাশাপাশি কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

সীমা হত্যার ঘটনায় আজ ভোরে তাঁর ভাই মো. হেলাল করিম সাতজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন সীমা বেগমের সৎছেলে নাহিদ শিকদার, নাহিদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, নাহিদের শ্বশুর তারেক উল্লাহ, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, শ্যালক সাকিব, মামাশ্বশুর নাসিরউদ্দিন ও সীমার স্বামী শাহজাহান শিকদার।

সীমার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। তিনি তাঁর স্বামী শাহজাহানের সঙ্গে কাফরুলে থাকতেন।

হেলাল করিমের ভাষ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিকভাবে সীমা ও শাহজাহানের বিয়ে হয়। এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি নাহিদ। শাহজাহানের আর্থিক অবস্থা ভালো। তিনি কার্টন ফ্যাক্টরির মালিক। বেশ কিছুদিন ধরে নাহিদ তাঁর নামে সম্পত্তি লিখে দিতে বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। সীমা তাঁর মা–বাবাকে সাংসারিক অশান্তির কথা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে যে এভাবে খুন হতে হবে, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি।

আজ সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে অপেক্ষা করছিলেন সীমার স্বজনেরা। তাঁর চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শাহজাহান তাঁদের দ্রুত বাসায় আসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি জানান, সীমা মারা গেছেন।

সীমার স্বজনদের ভাষ্য, নাহিদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন কাফরুলের বাসায় ছিলেন। গতকাল সকালে তাঁরা একে একে বেরিয়ে যান।

পুলিশ সীমার লাশ উদ্ধার করে তাঁর শোয়ার ঘরের খাটের ওপর থেকে। পুলিশ জানায়, সীমার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের পেছনের অংশ পুড়ে যাওয়া। লাশের পাশে একটা লুঙ্গি পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, লুঙ্গি দিয়ে শ্বাসরোধের পরে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন