ইউএনও ওয়াহিদার সব প্যারামিটারই ভালো: চিকিৎসক
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাঁর সব প্যারামিটারই ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। মুখে খাচ্ছেন তরল খাবার।
গতকাল সোমবার ওয়াহিদাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে হাই ডিপেন্ডেসি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছেঅধ্যাপক জাহেদ হোসেন, ইনস্টিটিউটের নিউরো ট্রমা সার্জারি বিভাগের প্রধান ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সচিব
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের নিউরো ট্রমা সার্জারি বিভাগের প্রধান ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. জাহেদ হোসেন।
অধ্যাপক জাহেদ হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার ওয়াহিদাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে হাই ডিপেন্ডেসি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
সেখানে তাঁকে মুখে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওয়াহিদার জ্ঞানের মাত্রা স্বাভাবিক মানুষের জ্ঞানের মাত্রার সমান। তাঁর অন্যান্য অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। শুধু শরীরের ডান দিকটা আগের মতোই অবশ। তাঁর ফিজিওথেরাপি চলছে। ফিজিওথেরাপির পর কতটুকু উন্নতি হয়, সেটা সময় হলে বোঝা যাবে।
Also Read: ইউএনও ওয়াহিদার বাবা সুস্থ হয়ে উঠছেন
ওয়াহিদাকে এইচডিইউ থেকে কবে বেডে স্থানান্তর করা হবে, জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহেদ হোসেন বলেন, আমরা তাঁকে বেডে দেওয়ার কথা চিন্তা-ভাবনা করছি। যেহেতু এখানে কিছু নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে, সে জন্য আমরা তাঁকে এখনো এইচডিইউতেই রেখেছি। কাল বুধবার মেডিকেল বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত নেবে তাকে কেবিনে বা বেডে পাঠানো হবে কি না।
Also Read: সব ইউএনও’র বাসভবনে আনসার মোতায়েন
ওয়াহিদা এখন শঙ্কামুক্ত কি না, এ ব্যাপারে জাহেদ হোসেন বলেন, শঙ্কামুক্ত বলাটা কঠিন। তবে যে কন্ডিশনের জন্য তিনি খারাপ ছিলেন, সেই কন্ডিশনটা ইমপ্রুভ হয়েছে। মোটামুটি সব প্যারামিটারেই তাঁর উন্নতি হয়েছে। ওনার পালস-ব্লাড প্রেশার, মানসিক কন্ডিশন, জ্ঞানের মাত্রা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার সবকিছু চিন্তা করলে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
ডান হাত অবশের বিষয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা আশা করি, ফিজিওথেরাপিতে তাঁর উন্নতি হবে, তবে কবে কতটুকু হবে, সেটা বলা কঠিন। হাতে ওনার শক্তি নাই, কিন্তু বোধ আছে। চিমটি কেটে ব্যথা দিলে বুঝতে পারেন, টাচ করলে বুঝতে পারেন। কিন্তু হাতের কোনো শক্তি নেই, হাত নাড়াতে পারেন না।’
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ভেন্টিলেটর দিয়ে ইউএনওর বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে তাঁকে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়।
Also Read: ‘ইউএনও ওয়াহিদা যথেষ্ট বিপজ্জনক অবস্থায় আছেন’