ইউএনও ওয়াহিদার বাবা সুস্থ হয়ে উঠছেন

হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন ওমর আলীফাইল ছবি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী (৭০) সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের পরিচালক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ওমর আলীর শরীরের ব্যথা অনেকটা কমে এসেছে। স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়া করছেন। নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্য চিকিৎসকেরা সার্বক্ষণিক তাঁর দেখাশোনা করছেন।

এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলার মূল আসামি আসাদুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসার পর তাঁকে আজ শনিবার বিকেলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে যান। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।

আরও পড়ুন

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় রংপুর নগরের র‌্যাব-১৩–এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৩–এর অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, আসাদুল ইসলাম, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাস র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ‘চুরির অভিপ্রায়’ থেকেই নৃশংস এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার প্রধান আসামি আসাদুল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নবীরুল এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। নবীরুল ও সান্টু কুমার—দুজনই পেশায় রংমিস্ত্রি। আসাদুল ও নবীরুলের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় চুরি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে লাল টি–শার্ট পরে হালকা-পাতলা গড়নের যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল, তিনিই নবীরুল। জিজ্ঞাসাবাদে নবীরুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

গত বুধবার গভীর রাতে ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আহত বাবা-মেয়েকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে পরে জরুরি ভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে তাঁকে ঢাকায় এনে আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। এখানেই তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁর বাবা ওমর আলী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন