Thank you for trying Sticky AMP!!

বিস্ফোরণে দগ্ধ লালমনিরহাটের সেই তরুণের মৃত্যু

শুকুর আলী নয়ন

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তরুণ শুকুর আলী নয়ন (২৬) মারা গেছেন। আজ রোববার সকালে উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশী গ্রামে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

নিহত শুকুর আলী নয়ন নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের মেহের আলী ও বুলবুলি বেগমের ছেলে তিনি।

পরিবার সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে মসজিদে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে শুকুর আলী নয়ন দগ্ধ হন। ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে মুঠোফোনে সেই খবর পেয়ে রাতেই মা বুলবুলি বেগম তাঁর এক ভাগনিকে নিয়ে আদিতমারী থেকে ঢাকার পথে রওনা দেন। সারা রাত গাড়িতে চড়ে শনিবার সকাল ছয়টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। ছুটে যান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এরপর থেকে সেখানকার অভ্যর্থনাকক্ষে অপেক্ষা করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত বিকেলে ছেলের মৃত্যু খবর পান বুলবুলি বেগম। পরে রাতে ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। আজ রোববার সকালে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, ওই বিস্ফোরণে নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবারটিকে কীভাবে আরও সাহায্য করা যায়, সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।


এদিকে শনিবার দগ্ধ নয়নের মা বুলবুলি বেগমকে নিয়ে প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে ‘ছলছল চোখে জল, নিঃশব্দ কান্না’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেখানে বুলবুলি বেগম বলেছেন, তাঁর চার ছেলেমেয়ে। তিন ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন বড় ছেলে নয়ন।

Also Read: ছলছল চোখে জল, নিঃশব্দ কান্না

Also Read: মারা গেলেন মসজিদের ইমামও, মৃত বেড়ে ২০