মারা গেলেন মসজিদের ইমামও, মৃত বেড়ে ২০

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে তোলা ছবি।
দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জের তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদের অগ্নিদগ্ধ ইমাম আবদুল মালেক (৬০) মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ মসজিদে বিস্ফোরণে মারা গেলেন ২০ জন।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন। এর আগে মারা যান বায়তুস সালাত মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন এবং তাঁর ছেলে জুনায়েদ।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে ১৭ জন।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে মারা যান ১১ জন। এরপর আরও ৯ জন যুক্ত হলেন মৃত্যুর মিছিলে।  

চিকিৎসক সামন্ত লাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তাঁর ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭) এবং বাহার উদ্দিন (৫৫)। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, মারা যাওয়া মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ারের শ্বাসনালির ৮৭ ভাগ পুড়ে যায়। এ ছাড়া মারা যাওয়া রাসেলের শ্বাসনালির ১০০ ভাগ, কুদ্দুস ব্যাপারীর ৯০ ভাগ, জয়নালের ৯০ ভাগ এবং গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহীমের ৯০ ভাগ শ্বাসনালি পুড়ে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণে ৫০ জনের অধিক গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় যারা চিকিৎসাধীন তাঁরা হলেন, মো. ফরিদ (৫৫), শেখ ফরিদ (২১), মনির ফরাজী (৩০), আবুল বাসার মোল্লা (৫১), শামীম হাসান (৪৫), মো. আলী মাস্টার (৫৫), মো. কেনান (২৪), নজরুল ইসলাম (৫০), আবদুল আজিজ (৪০), নাদিম (৪৫), হান্নান (৫০), আবদুস সাত্তার (৪০), সিফাত (১৮), জুলহাস উদ্দিন (৩০), আমজাদ (৩৭), মামুন (২৩) এবং ইমরান (৩০)।