Thank you for trying Sticky AMP!!

শাল্লায় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার পর ঝুমন দাশের ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা মালামাল

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইরশাদ আলী (৪০) নামের এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার কাশিপুর গ্রাম থেকে শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৭ মার্চ সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চণ্ডিপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের পাশের ধারাইন নদের তীরে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালান। এ সময় বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

Also Read: শাল্লায় হামলা মামলার প্রধান আসামি শহিদুলের ৫ দিনের রিমান্ড

শাল্লায় হামলার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৭ এপ্রিল শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে শাল্লা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলামকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার জেলায় বদলি করা হয়।

শাল্লায় হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানা ও আদালতে মামলা হয়েছে চারটি। শাল্লা থানায় গত ১৮ মার্চ দুটি এবং ২২ মার্চ একটি মামলা হয়। সর্বশেষ ১ এপ্রিল আদালতে আরেকটি মামলা হয়।

Also Read: শাল্লায় হামলার ঘটনায় দায়িত্বে ‘অবহেলায়’ ওসি বরখাস্ত

১৮ মার্চ করা দুটি মামলার একটির বাদী শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি করেন নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার। এই মামলায় ৫০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজারজনকে আসামি করা হয়। আর ২২ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি মামলা করেন শাল্লা থানার এসআই আবদুল করিম।

Also Read: শাল্লায় হামলার ঘটনায় পোস্টদাতা ঝুমনের মা মামলা করলেন আদালতে

এই ঝুমন দাশের ফেসবুক পোস্ট নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। তিনি ১৭ মার্চ থেকে কারাগারে। ১ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন ঝুমন দাশের মা নিভা রানী দাশ। এই মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও দুই হাজার। এর মধ্যে ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা গ্রেপ্তার হওয়া নাসনি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীনকে এই মামলাও ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

গ্রামে হামলার মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে শহিদুল ইসলামকে পাঁচ দিনের এবং আরও ২৮ জনকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

Also Read: শাল্লায় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২২ জন কারাগারে