শাল্লায় হামলার ঘটনায় দায়িত্বে ‘অবহেলায়’ ওসি বরখাস্ত

শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা থাকায় শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে শাল্লা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

একই ঘটনায় দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার জেলায় বদলি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান দুই থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৭ মার্চ সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চণ্ডীপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসব গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের পাশের ধারাইন নদের তীরে অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

শাল্লা উপজেলা প্রশাসন ও থানার কর্মকর্তারা ঘটনার আগের দিন থেকে এলাকায় সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতেন। তাঁরা স্থানীয় উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শাল্লার ঘটনায় পুলিশের একটি সংস্থার তদন্তে শাল্লা ও দিরাই থানার পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেছে। পুলিশ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা এড়ানো যেত বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

শাল্লায় হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানা ও আদালতে মামলা হয়েছে চারটি। শাল্লা থানায় গত ১৮ মার্চ দুটি এবং ২২ মার্চ একটি মামলা হয়। সর্বশেষ ১ এপ্রিল আদালতে আরেকটি মামলা হয়। গ্রামে হামলার মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন