Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংসদের বিরুদ্ধে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পায়নি পাঁচ সংগঠন

সাংসদ শাহে আলমের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে পূজা উদ্‌যাপন পরিষদসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচটি সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে

বরিশাল-২ আসনের সাংসদ মো. শাহে আলমের বিরুদ্ধে বানারীপাড়া উপজেলার পশ্চিম তেতলা গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পায়নি পাঁচটি সংগঠন। সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেব কুমার সরকার, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি সুমন রায়, জেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি সুমন দেবনাথ, যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন বণিক, পৌর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়াল, উপজেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি হৃদয় সাহা প্রমুখ।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ১২টি পরিবারের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচটি সংগঠন। আজ ওই সংগঠনগুলোর নেতারা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পশ্চিম তেতলা গ্রাম পরিদর্শন শেষে বিকেলে বানারীপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

Also Read: বানারীপাড়ায় আ.লীগের সাংসদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সমাদ্দার। এতে বলা হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের ১২টি পরিবারের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ সরেজমিনে যাচাই করতে পশ্চিম তেতলা গ্রামে গিয়ে মাত্র ৩টি হিন্দু পরিবারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। তাঁরা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারেন, অভিযোগকারী রতন ঘরামী স্বেচ্ছায় তাঁর জমি সাংসদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। ২৪ জানুয়ারি ওই সম্পত্তি তাঁর লিখে দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ব্যাপারীর কাছে রতন ঘরামী তাঁর নিজের ছবি, আইডি কার্ড, জমির দলিল, রেকর্ড পরচাসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেন। এমনকি ৫০ শতক সম্পত্তি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রির জন্য বায়না করেন বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরবর্তী সময়ে জমি বিক্রি নিয়ে রতন ঘরামীর সঙ্গে প্রতিবেশী সুমন রায়ের মতবিরোধ হয়। রতন ঘরামী তাঁর জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে সাংসদ শাহে আলমের বিরুদ্ধে হিন্দু পরিবারের বসতবাড়ি ও জমি দখলচেষ্টার অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং অ্যাগ্রোফার্ম করার জন্য জমি কিনতে চাওয়া হয়েছে।

Also Read: সাংসদের বিরুদ্ধে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা

বরিশাল প্রেসক্লাবে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে সাংসদ শাহে আলমের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ও জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ করেন স্থানীয় কৃষক রতন ঘরামী। এ ঘটনায় আজ বরিশাল আদালতে মামলাও হয়েছে।