Thank you for trying Sticky AMP!!

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমেছে, বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল

সুনামগঞ্জে বন্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পানিবন্দী মানুষ

সুনামগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি হয়নি। তবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গতকালের তুলনায় সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কাছে শুক্রবার সকালে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ২১ মিলিমিটার। এর আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল ১৮৫ মিলিমিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বৃষ্টি হলেই জেলার নদ-নদীর পানি কিছুটা বাড়বে। তবে সেটার পরিমাণ বেশি হবে না। আগের মতো পরিস্থিতি হওয়ার কোনো পূর্বাভাস নেই।

সুনামগঞ্জে এখনো বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে বন্যার পানি আছে। পানি কিছুটা কমলেও অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। অনেকের বাড়িঘর বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার চারটি উপজেলার সঙ্গে এখনো সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সোমবার থেকে পানি আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। এখন আবার পানি নামছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কাজীর পয়েন্ট, বিলপাড়া, নবীনগর, পশ্চিম নতুনপাড়া এলাকার যেসব স্থানে বৃহস্পতিবার নতুন করে পানি উঠেছিল, রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সেসব স্থান থেকে পানি নেমেছে।

Also Read: ধানের চিন্তায় উদ্বিগ্ন চাষি

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আকরাম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি নিয়েই এখন ভয়ে সুনামগঞ্জের মানুষ। বৃষ্টি হলেই পানি বাড়ে। গত দু-এক দিনের ভারী বৃষ্টি মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। মানুষ বলাবলি করছে, বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি হতে পারে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন কুমার বর্মণ সকালে মুঠোফোনে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ শুক্রবার পানি সামান্য কমেছে। তবে মানুষের বাড়িঘরে পানি আছে। সকাল থেকে আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুদ্দোহ জানিয়েছেন, বৃষ্টি হবে, তবে ভারী বৃষ্টি না-ও হতে পারে। এতে পানি বাড়তে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি আগের মতো হবে, এমন কোনো পূর্বাভাস নেই।

Also Read: সুনামগঞ্জে বন্যায় ৪৫ হাজার ঘর বিধ্বস্ত