Thank you for trying Sticky AMP!!

কর্মচারীদের আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই হাসপাতালের পরিচালক বদলি

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অপসারণের দাবিতে কর্মচারীদের বিক্ষোভ। গতকাল সোমবার দুপুরে

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অপসারণের জন্য গতকাল সোমবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হওয়ার আগেই হাসপাতালের পরিচালক শরিফুল হাসানকে ওই পদ থেকে সরিয়ে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পারসোনাল-২ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল দুপুরে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আলটিমেটাম দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আ ম আখতারুজ্জামান পরিচালক শরিফুল ইসলামের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিচালক স্যারের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে নতুন করে পরিচালক এখনো পদায়ন হয়নি।’

Also Read: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিচালককে অপসারণের আলটিমেটাম কর্মচারীদের

প্রসঙ্গত, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শরিফুল হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আন্দোলনের ডাক দেন। পরিচালকের অপসারণের দাবিতে গত রোববার থেকে কর্মচারীরা হাসপাতালে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালনের পর পরিচালক শরিফুল হাসানকে অপসারণের জন ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা।

পরিচালক শরিফুল হাসানের বিরুদ্ধে কর্মচারীরা তিনটি অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগগুলো হলো—১৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চাকরিচ্যুত, নতুন করে লোক নিয়োগ ও কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ। তবে তিনটি অভিযোগ প্রসঙ্গে কর্মচারী সমিতির নেতাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা কেউই সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি।

Also Read: পরিচালকের অপসারণের দাবিতে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

এ ব্যাপারে কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীনুর ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে মাস্টাররোলে নিয়োগ কিংবা এতগুলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী চাকরিচ্যুত করার খবর তাঁর জানা নেই। তবে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য কয়েকটি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কর্মচারীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ‘এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। এখানে আমার যোগদান করার মাত্র চার মাস হলো। নতুন করে লোকবল নিয়োগ ও চাকরিচ্যুতও করা হয়নি। বরং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ১১টি গ্রুপে প্রায় ১৫ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করেছি।’