Thank you for trying Sticky AMP!!

এসএসসি ২০২২ - ভূগোল ও পরিবেশ | অধ্যায় ৬ : সৃজনশীল প্রশ্ন

অধ্যায় ৬

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

প্রশ্ন

ক. ফ্যাদোমিটার কী?

খ. উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোত বলতে কী বোঝো?

গ. C, D ও E ভূমিরূপের ১টি করে বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ. A ও B ভূমিরূপদ্বয় নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

ক. সমুদ্রের গভীরতা মাপার যন্ত্রকে বলা হয় ফ্যাদোমিটার।

খ. নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পানিরাশি হালকা হয় ও হালকা জলরাশি সমুদ্রের উপরিভাগ দিয়ে পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে।

আর মেরু অঞ্চলের শীতল ও ভারী পানিরাশি জলের নিচের অংশ দিয়ে আন্তপ্রবাহরূপে নিরক্ষীয় উষ্ণমণ্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়। এরূপ স্রোতকে শীতল স্রোত বলে।

গ. চিত্রে সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ দেখানো হয়েছে। এ ভূমিরূপের মধ্যে C, D ও E হলো যথাক্রমে গভীর সমুদ্রের সমভূমি, গভীর সমুদ্র খাত ও নিমজ্জিত শৈলশিরা। C, D ও E ভূমিরূপের একটি করে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:

গভীর সমুদ্রের সমভূমির (C) বৈশিষ্ট্য: মহীঢালের পর থেকে সমুদ্র তলদেশে এ সমভূমি দেখা যায়। সমভূমি নাম হলেও এ অঞ্চল প্রকৃতপক্ষে বন্ধুর। এর ওপর বহু শৈলশিরা ও উচ্চ ভূমি অবস্থান করে।গভীর সমুদ্র খাতের (D) বৈশিষ্ট্য: গভীর সমুদ্রের সমভূমি অঞ্চলে মাঝে মাঝে খাত সৃষ্টি হয়। এগুলো অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট। ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি থেকে এসব খাত সৃষ্টি হয়।

নিমজ্জিত শৈলশিরার (E) বৈশিষ্ট্য: সমুদ্রের অভ্যন্তরে আগ্নেয়গিরির লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়ে শৈলশিরা গঠন করে।

ঘ. A ও B ভূমিরূপদ্বয় হলো মহীসোপান ও মহীঢাল।

মহীসোপান (A): পৃথিবীর মহাদেশগুলোর চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরূপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসোপান বলে। মহীসোপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১০ কোণে সমুদ্র তলদেশে নিমজ্জিত থাকে।

উপকূলভাগের বন্ধুরতার ওপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। উপকূল যদি বিস্তৃত সমভূমি হয়, তবে মহীসোপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসোপান সংকীর্ণ হয়। ইউরোপের উত্তরে বিস্তীর্ণ সমভূমি থাকায় উত্তর মহাসাগরের মহীসোপান খুবই প্রশস্ত (প্রায় ১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার)।

আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান মালভূমি বলে এর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মহীসোপান খুবই সরু। স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসোপানের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসোপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।

মহীঢাল (B): মহীসোপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবে নেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সঙ্গে মিশে যায়। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে। সমুদ্রে এর গভীরতা ২০০ থেকে ৩০০০ মিটার। এটা অধিক খাড়া হওয়ার জন্য খুব প্রশস্ত নয়। এটি গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ৩২ কিলোমিটার প্রশস্ত। মহীঢালের উপরিভাগ সমান নয়। অসংখ্য আন্তসাগরীয় গিরিখাত অবস্থান করায় তা খুবই বন্ধুর প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু হলে জীবজন্তুর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতির অবক্ষেপণ দেখা যায়।

মো. শাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

এই অধ্যায়ের প্রকাশিত পূর্বের সৃজনশীল প্রশ্ন | পরবর্তী সৃজনশীল প্রশ্ন