Thank you for trying Sticky AMP!!

নাগপুর টেস্টে এভাবেই আঙুল উঁচিয়ে ‘থাম্বস আপ’ দেখান স্মিথ। এর সমালোচনা করেছেন অ্যালান বোর্ডার

বোর্ডারের সমালোচনার জবাবে স্মিথের হয়ে ব্যাট ধরলেন ক্যারি

স্টিভেন স্মিথ যে এমনটা প্রথমবার করলেন, তা নয়; গত বছর শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার প্রভাত জয়াসুরিয়াকেও ‘থাম্বস আপ’ দেখিয়েছিলেন তিনি। এবার নাগপুর টেস্টে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজাকে ‘থাম্বস আপ’ দেখানোয় বেধেছে বিপত্তি। সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে।

বিশেষ করে স্মিথের ওপর খেপেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার। স্মিথের সেই বুড়ো আঙুল তুলে বোলারকে সাধুবাদ জানানোর উদাহরণ টেনে বোর্ডার ধুয়ে দেন পুরো অস্ট্রেলিয়া দলকে। এবার বোর্ডারের সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি।

Also Read: কারস্টেন ভারতের কোচ হওয়ায় অবসর নিতে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার

Also Read: সতীর্থ আমির এখন প্রতিপক্ষ, কীভাবে সামলাবেন বাবর

‘থাম্বস আপ’ দেখা জাদেজার বলেই স্মিথ আউট হয়েছেন বলেই কি এতটা সমালোচনা? না, সে সুযোগ নেই, কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও এক ইনিংসে জয়াসুরিয়ার বলেই আউট হয়েছিলেন স্মিথ।

হয়তো এই সিরিজের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়ে থাকার কারণেই, স্মিথ যেভাবে ‘থাম্বস আপ’ জানিয়েছে, সেটি একেবারেই মানতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি, ‘অস্ট্রেলিয়াকে আরও শক্ত মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে। এর মানে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা যখন অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পরাস্ত হচ্ছিল, তখন তারা প্রতিপক্ষকে “থাম্বস আপ” দিচ্ছিল। এসব কী! আমার কাছে পুরো বিষয়টিই হাস্যকর লাগছিল। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।’

অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি

বোর্ডারের এমন কথার জবাব দিয়েছেন ক্যারি। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা অ্যালান বোর্ডারকে সম্মান করি। তবে আমার মনে হয়, প্রত্যেক ক্রিকেটার ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজটা করেন। স্মিথ এখানে অনেক ম্যাচ খেলেছে, সে অস্ট্রেলিয়ার দলের একজন নেতাও। প্রতিপক্ষ দলের অনেকেই স্মিথের সতীর্থ। আর সে যেকোনো পরিস্থিতেই এমনটা করে। ব্যাটিংয়ের সময়ে যেভাবে সে হাত নাড়ায়, অন্য জিনিসগুলো করে, আমার মনে হয় সেসব তার মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।’

Also Read: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও নিগারের ভরসা মারুফা

Also Read: পিএসএলে যাচ্ছেন সাকিব, খেলবেন পেশোয়ারের হয়ে

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট শুক্রবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শুরু হবে। ১৯৮৭ সালের পর এই মাঠে কখনো টেস্ট হারেনি ভারত। শেষবার অস্ট্রেলিয়া এখানে টেস্ট জিতেছিল ১৯৫৯ সালে।

একে তো প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার, সঙ্গে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের বাজে রেকর্ড। চাপে থাকা অস্ট্রেলিয়া দিল্লিতেই সিরিজে ফিরতে চায়, ‘চার টেস্টের প্রথম টেস্ট ছিল এটা। দিল্লিতে জিতে সিরিজের ফেরার ইতিবাচক চিন্তাই আমরা করছি।’