Thank you for trying Sticky AMP!!

কর্পোরেট নারী কাবাডি লিগের ৬ দলে আইকন খেলোয়াড়রা

অল্প পারিশ্রমিকেই সন্তুষ্ট থাকছেন কাবাডির মেয়েরা

জাতীয় নারী কাবাডি দলের পরিচিত মুখ রুপালি আক্তার। ২০০৯ সাল থেকে টানা খেলছেন জাতীয় দলে। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজেন ২০১২ সালে প্রথম মেয়েদের কাবাডি লিগে অংশ নেন রুপালি। এরপর গত ১১ বছরে মেয়েদের কোনো কাবাডি লিগ হয়নি।

অবশেষে আবারও মেয়েদের কাবাডি লিগ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। দেশের ছয়টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় যে লিগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘করপোরেট নারী কাবাডি লিগ’। শুরু হবে আগামীকাল পল্টন কাবাডি স্টেডিয়ামে। ফাইনাল ৩১ জানুয়ারি।

করপোরেট কাবাডি লিগে অংশ নিচ্ছে ৬টি দল। বেঙ্গল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স, আহসান গ্রুপের মতলব থান্ডার, ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নরসিংদী লিজেন্ডস, ব্রিজ ফার্মার ঢাকা টুয়েলভ, টেকনো মিডিয়ার দুটি দল—টেকনো মিডিয়া ও নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটরস।

Also Read: আর্জেন্টিনার কাবাডি দল আসছে ঢাকায়

শুরুতে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে হবে খেলা। এরপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খেলবে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। কোয়ালিফায়ারের বিজয়ী দল সরাসরি উঠে যাবে ফাইনালে। যে দল হারবে, তাদেরও সুযোগ থাকবে ফাইনালে ওঠার। ফাইনালে যাওয়ার জন্য তারা খেলবেন লিগের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুই দলের মধ্যকার এলিমিনেটর ম্যাচ জেতা দলটির সঙ্গে।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের সঙ্গে খেলোয়াড়রা

পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলা ছয়জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে ছয় দলের আইকন খেলোয়াড় হিসেবে। এঁদের মধ্যে মতলব থান্ডারের আইকন শারমিন সুলতানা রিমা, বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের হাফিজা আকতার, নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটরসের দিশা মনি সরকার, ঢাকা টুয়েলভের রেখা আকতার, নরসিংদী লিজেন্ডসের রুপালী আকতার ও টেকনো মিডিয়ার আইকন স্মৃতি আকতার।

জাতীয় দলের সাবেক কোচ ও খেলোয়াড়েরা দলগুলোর কোচ হিসেবে থাকছেন। সাবেক খেলোয়াড় জিয়াউর রহমান হয়েছেন নরসিংদী লিজেন্ডসের কোচ। এ ছাড়া আশরাফুল আলম মতলব থান্ডারের, মশিউর রহমান নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটরসের, ইউনুস আলী বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের, বজলুর রশীদ ঢাকা টুয়েলভের ও বাদশা মিয়া টেকনো মিডিয়ার কোচ। দলগুলোর সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে থাকছেন জাতীয় দলের দুই কোচ সুবিমল চন্দ্র দাস ও আবদুল জলিল।

নারী কাবাডি লিগ থেকে বেছে নেওয়া হবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়

করপোরেট কাবাডি লিগের জন্য খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়াটা শুরু হয় গত বছর জানুয়ারিতে। পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইজিপি কাপ অনূর্ধ্ব-১৮ যুব কাবাডি থেকে বাছাই করা হয়  প্রায় ১০০ জন নারী খেলোয়াড়। এঁদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা। গত দুই মাস ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে আবাসিক ক্যাম্পে রেখে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখান থেকে বাছাই করা ৭৮ জনকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ছয়টি দল।

Also Read: ৯ বছর পর নারী কাবাডি লিগ

২০১২ সালে হওয়া সর্বশেষ মেয়েদের লিগে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন রুপালি আক্তার। কিন্তু সে তুলনায় করপোরেট কাবাডি লিগে আর্থিকভাবে খুব বেশি লাভবান হতে পারছেন না এই খেলোয়াড়েরা। ছয় দলের জন্য বরাদ্দ ১৫ লাখ টাকা। এর মানে প্রতিটি দল পাবে আড়াই লাখ করে টাকা। একেকটি দলে খেলছেন ১৩ জন খেলোয়াড়। জনপ্রতি গড়ে ২০ হাজার টাকার কম পাচ্ছেন খেলোয়াড়েরা!

অবশ্য এই টাকার বাইরে খেলোয়াড়দের জন্য যে আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, সেটাকেই বড় করে দেখছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ‘টাকার অঙ্কে হয়তো প্রতিটি খেলোয়াড় খুব বেশি পাচ্ছে না। তবে ওদের পেছনে আমাদের বড় অঙ্কের খরচ হচ্ছে। এটাকে আমরা বিনিয়োগ হিসেবেই দেখছি। কারণ এখান থেকেই গঠন করা হবে ভবিষ্যতের জাতীয় দল।’

Also Read: উপমহাদেশীয়দের হাত ধরেই ইংল্যান্ডে কাবাডি

আর্থিক বিষয়ের চেয়ে সরকারি চাকরিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটরসের খেলোয়াড় দিশা মনি, ‘আগে লিগে খেলে আমরা সেভাবে টাকা পেতাম না। শুধু হাতখরচ দিত। এবার যা পাচ্ছি সেটাকে বেশি বলব না। তবে এই টাকাপয়সার চেয়ে সরকারি চাকরি আমাদের বেশি প্রয়োজন। ২০১৮ সাল থেকে আমি জাতীয় দলে খেলছি। কিন্তু কোনো চাকরি হচ্ছে না আমার।’