ইউক্রেনে রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে গণভোট আয়োজনের নিন্দায় পশ্চিমারা
ইউক্রেনের রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মস্কোর গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। খবর বিবিসির।
খেরসন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও জাপোরিঝঝিয়া—ইউক্রেনের এই চার অঞ্চলের রুশ-সমর্থিত কর্মকর্তারা গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অঞ্চল চারটিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যেই এই গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। গণভোট আয়োজনের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্স।
Also Read: রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে গণভোট
পশ্চিমা এই দেশগুলো বলেছে, তারা এ ধরনের ভুয়া গণভোটের ফলাফলকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো বলেছে, গণভোটের এ পরিকল্পনা যুদ্ধের তীব্রতা বাড়াবে।
ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল চারটিতে শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনের জন্য গণভোটের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, যে চার অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে, তা ইউক্রেনের ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ। এই চার এলাকার মোট আয়তন হাঙ্গেরির সমান।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ‘ভুয়া’ গণভোট আয়োজনের জন্য রুশ পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এই গণভোটকে গণতন্ত্রের প্রতি উপহাস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, তাঁর দেশ কখনোই এই গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না। এই গণভোটকে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতির অবমাননা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা (ওএসসিই) এক বিবৃতিতে বলেছে, আগ্রাসন চালানো বাহিনীর পরিকল্পিত যেকোনো গণভোট আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই গণভোটের কোনো আইনগত ভিত্তি থাকবে না।
রাশিয়ার এই তৎপরতার মুখে কিয়েভের প্রতি তার অংশীদারদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি আজ বুধবার ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Also Read: পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী: এরদোয়ান
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধের সাত মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে।
গত সাত মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন রুশ সেনারা। তবে ইউক্রেনের সেনারা এখন পাল্টা হামলা শুরু করেছেন। পাল্টা হামলায় রুশ বাহিনী কিছু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।