Thank you for trying Sticky AMP!!

বলসোনারোকে কি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে?

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো

ব্রাজিলে উগ্র ডানপন্থীদের দাঙ্গার আঁচ লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও। কারণ, ব্রাসিলিয়ায় যখন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকেরা তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন, তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ছিলেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বলসোনারোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে নিজ দলেই চাপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা জোয়াকিন কাস্ত্রো সিএনএনকে বলেছেন, বলসোনারোকে ফ্লোরিডায় থাকতে দেওয়া উচিত নয়।

জোয়াকিন আরও বলেন, ‘ব্রাজিলে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেওয়া এই স্বৈরাচারীর আশ্রয়স্থল হওয়া উচিত নয় যুক্তরাষ্ট্রের। তাঁকে ব্রাজিলে ফেরত পাঠানো উচিত।’

‘ফ্লোরিডায় বলসোনারোকে আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেসের আরেক ডেমোক্র্যাট সদস্য আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ। এক টু্ইটে তিনি এ আহ্বান জানান।

তবে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, বলসোনারোর ভিসার বিষয়ে ব্রাজিল সরকারের কাছ থেকে কোনো ‘দাপ্তরিক অনুরোধ পায়নি’ যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মিনাস গেরাইস রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশ চলাকালে ছুরিকাহত হন বলসোনারো। তিনি ওই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

Also Read: ব্রাজিলে তাণ্ডবের পর বলসোনারো এখন কোথায়, কী বলছেন স্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো (বাঁয়ে)

গত অক্টোবরে সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন বলসোনারো। দ্বিতীয় মেয়াদে আর প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি তিনি। ওই নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে লাতিন আমেরিকার দেশটির রাজনীতিতে মারাত্মক বিভক্তির সৃষ্টি হয়।

গত সপ্তাহে লুলা দা সিলভার দায়িত্ব গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। সেখানে এক পেশাদার মিক্সড মার্শাল আর্টস খেলোয়াড়ের বাসায় ওঠেন তিনি।

Also Read: ছবিতে ব্রাজিলে নজিরবিহীন দাঙ্গা

নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারেননি বলসোনারোর উগ্র ডানপন্থী সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কারচুপির মাধ্যমে বলসোনারোকে হারানো হয়েছে। এ জন্য তাঁরা সামরিক বাহিনীর ‘হস্তক্ষেপ’ চেয়ে আসছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ব্রাজিলের পার্লামেন্ট ভবন কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাণ্ডব চালান বলসোনারোর সমর্থকেরা। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন ডানপন্থী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

Also Read: যেভাবে ব্রাজিলে দাঙ্গা উসকে দেন ট্রাম্প-মিত্ররা