ব্রাজিলে তাণ্ডবের পর বলসোনারো এখন কোথায়, কী বলছেন স্ত্রী

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো
ছবি: রয়টার্স

সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকদের নজিরবিহীন দাঙ্গার সাক্ষী হলো ব্রাজিল। এ ঘটনায় দেশের ভেতরে-বাইরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এর মধ্যেই তাঁর স্ত্রী মিশেল বলসোনারো জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট পেটে ব্যথা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত রোববার রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সরকারি দপ্তরগুলোয় বলসোনারোর হাজারোর সমর্থকের তাণ্ডবের পরদিন এ খবর এল। একাধিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, গতকাল সোমবার অরল্যান্ডোর কাছের একটি হাসপাতালে বলসোনারোকে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোর কাছের এক হাসপাতালে বলসোনারো ভর্তি আছেন বলে স্ত্রী জানিয়েছেন
ছবি রয়টার্স

ব্রাজিলের সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে ২০১৮ সালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এর পর থেকে তিনি মাঝেমধ্যেই পেটের ব্যথায় ভোগেন।

গতকাল ইনস্টাগ্রামে মিশেল বলসোনারো নিশ্চিত করেছেন, পেটে অস্বস্তির কারণে তাঁর স্বামী চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।

পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলসোনারোর শারীরিক অবস্থা ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নয়’। তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরটি প্রথমে ব্রাজিলের একটি সংবাদমাধ্যমে আসে।

প্রায় ১০ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ব্রাজিল ত্যাগ করেন বলসোনারো। গত সপ্তাহে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন

গত অক্টোবরের নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসোনারো। তবে তাঁর উগ্র ডানপন্থী সমর্থকেরা এই পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের অভিযোগ, কারচুপির মাধ্যমে বলসোনারোকে হারানো হয়েছে। এ জন্য তাঁরা সামরিক বাহিনীর ‘হস্তক্ষেপ’ চেয়ে আসছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ব্রাজিলের পার্লামেন্ট ভবন কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে তাণ্ডব চালান বলসোনারোর সমর্থকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের হটিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসব সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ দাঙ্গার ঘটনায় বলসোনারোর ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন। বলসোনারো এক টুইটে সহিংস এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন।