স্মৃতির উত্তরাধিকার

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জার্মান সংস্কৃতিকেন্দ্র গ্যেটে ইনস্টিটিউটে ছিল ‘স্মৃতির উত্তরাধিকার’ নিয়ে একটি আলোচনা। ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর দুই বাংলার তৃতীয় প্রজন্মের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে শুরু হয় মৌখিক ইতিহাস সংরক্ষণমূলক এই গবেষণা। জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্স এবং রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ-এর যৌথ সহযোগিতায় গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ও কলকাতার যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি শুরু হয় গত বছরের আগস্টে।

দেশভাগের স্মৃতি ও গল্পগুলো কীভাবে প্রথম প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্মের কাছে গিয়ে কী রূপ নিচ্ছে সেটা ধারণ, সংরক্ষণ এবং নথিভুক্ত করাই এ গবেষণার উদ্দেশ্য। গবেষণায় পাওয়া অভিজ্ঞতা ও গল্পগুলোকে একাধিক দৃষ্টিকোণে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে ১৬ জন তরুণ গবেষক দেশভাগের শিকার তৃতীয় প্রজন্মের এসব স্মৃতিচারণা ধারণ করেন। গবেষণায় দেশভাগের স্মৃতি, অনিশ্চিত যাত্রা, সব হারিয়ে ও বেঁচে যাওয়ার অনুভূতি, নিজের বাড়ির পরিচয়, জাতীয়তাসহ দেশভাগের নানা জটিলতাকে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের একটি ওয়েবসাইটও উন্মোচন করা হয়েছে। প্রকল্পের গবেষকেরা ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন ভারতের মানস রায় ও বাংলাদেশের মেঘনা গুহঠাকুরতা। এ ছাড়া দেশভাগের ওপর নির্মিত সুপ্রিয় সেনের একটি তথ্যচিত্রও সেখানে দেখানো হয়।