ফুলের ডাক্তার

রাজ্যের নাম ফুলনগরী। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল থাকে। এখানে কেউ তাঁতি, কামার, কুমার, শিক্ষক, পুলিশ। এখানে আছে এক ফুলরানি। সে হলো গোলাপ। একদিন রানি গোলাপ তার রাজ্যে ঘুরতে বের হলো। রাজ্যের অন্য ফুলেরা কেমন আছে, তা দেখতে। ঘুরতে ঘুরতে রানির নাকে একটা পোকা ঢুকল। রানি অনেক চেষ্টা করেও পোকাটি বের করতে পারল না। রাজ্যের সবাই এল, কিন্তু যে যার মতো চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। পোকার কামড়ে রানি কাঁদতে লাগল। সবাই রানিকে সুস্থ করতে এদিক-ওদিক ছুটতে লাগল। মহা মুশকিল!
রাজ্যে ছিল না কোনো ডাক্তার ফুল। একদিন রাজ্যের মন্ত্রী এসে বলল, ডাক্তার ছাড়া পোকা বের করা সম্ভব নয়। ডাক্তার ফুলের খোঁজে রাজ্যে ঘোষণা দেওয়া হলো। ডাক্তারের খোঁজে সবাই ব্যস্ত হয়ে উঠল। কিন্তু ডাক্তার পাওয়া গেল না। এদিকে রানির ব্যথা বেড়েই চলেছে।
সবাই খুব চিন্তায় পড়ে গেল। রানিকে বুঝি আর ভালো করা গেল না! রানি প্রার্থনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ সে স্বপ্ন দেখল, পাশের স্বর্ণ দিঘিতে আছে ফুলের ডাক্তার। ডাক্তারের নাম শাপলা। তারপর রানি ঘুম থেকে উঠেই গেল স্বর্ণ দিঘির কাছে। সে শাপলাকে ডেকে বলল, ‘তুমি যে আমাদের পাশেই থাকো, তা তো আমরা জানতে পারিনি।’ শাপলা বলল, ‘আমি তো পানি থেকে উঠতে পারি না, তাই আপনার কাছে যেতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করবেন।’
তারপর ডাক্তার শাপলাকে পানি থেকে তুলে আনা হলো। ডাক্তার শাপলার দেওয়া ওষুধে রানির নাকের পোকা বের হলো। রানি সুস্থ হয়ে উঠল। খুশি হয়ে সে শাপলাকে জাতীয় ফুল ঘোষণা করল। সেই থেকে শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল।

তৃতীয় শ্রেণি, নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারী