স্লিপওয়াকে যতদূর যাওয়া যায়

অন্ধকার, তুমি মোটা হইয়া যাইতেছ—

আলো দেখাও; আলো তার চেম্বার ২৪ ঘণ্টা খুলে রাখে—

ক্ল্যায়েন্ট না-আসা পর্যন্ত কামসূত্রের ছবি আঁকে।

লোকেশন গুগল জানে না, ঘৃতকুমারী জানে—

কাঁচা হলুদ, থানকুনি, এককোষী রসুন, মধু, মেথি, মানকচু,

ডাব, তোকমা, তালমিছরি, মেথি, কলমি শাক, নিমপাতা,

আদা, পেঁপে, জিরা, তিসি, শজনেপাতারাও জানে। 

২.

আমার হাত থেকে ছুটে পড়া রাস্তাটা এঁকেবেঁকে,

সোজা, এঁকেবেঁকে কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়েছে।

রাস্তার দুই পাশে, হেক্টর হেক্টর জমিতে হাসপাতাল-ক্ষেত—

গেলবারের তুলনায় এবারের ফলন বাম্পার,

৩ গুণ; দেখতে দেখতে ঔষধের দোকান খুশিমুখ, ফ্রিজ।

পাখিরাও অ্যাম্বুলেন্সের শিস শুনে শুনে নিজেদেরটা ভুলে গেছে।

ক্ষয় নাই। 

৩.

চাঁদটা কারও বোঁটায় ঝুলে আছে—এ রকম চোখে হলো।

পাকলে হাওয়া ফেলে দেবে।

পাকতে কেমন সময় লাগবে—কচ্ছপ জানতে পারে;

‘বিরল’ করার আগে তার ভাষা শেখা গেলে

কবিতা লেখার কাগজ কমবে না।

 ৪.

যে স্কুলে ঘোড়া-কাটা পড়ানো-শেখানো হয়, সেই স্কুলে ঘাসেরা
                                ভর্তি হতে পারে না;—

এই বেদনা অ্যানালগ, ডিজিটাল গ্রাস-কাটারটা

তার চালককে বোঝাতে পারে না—

সকালে ধার অবধারিত জেনেও

রাতে নিজেদের জং ধরাতে ধরাতে, ভোঁতা বানাতে বানাতে

কামারশালা, ওয়ার্কশপের বিলুপ্তি কামনা করে—

চিরস্থায়ী অন্ধকারের পক্ষে চলে যাচ্ছি দেখে দেখে

কেঁচি আমাদের দিয়ে তামাক কাটাতে-কাটাতে এই সমস্ত জানায়। 

৫.

একটা খাঁচা দীর্ঘদিন পোষার পর উড়ে গিয়েছিল।

শিকল পুষলাম—টিকল না;

দড়ি পুষলাম—সে-ও চলে গেল।...

এরপর একটা ঘড়ি পুষলাম, বুনো—

চব্বিশটা ডিম পাড়া শেষ করে তা দিয়ে যাচ্ছে।