শপথ নিলেন জামায়াতের নতুন আমির মকবুল

নির্বাচিত হওয়ার প্রায় এক মাস পর জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির হিসেবে মকবুল আহমাদ গতকাল সোমবার শপথ নিয়েছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় জামায়াত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সকাল ১০টায় নির্বাহী পরিষদের সামনে নতুন আমির শপথ নিয়েছেন। তিনি তিন বছরের জন্য আমির নির্বাচিত হলেন।
মকবুল আহমাদ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৃতীয় আমির। এর আগে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী আমির ছিলেন। দুজনই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত। এর মধ্যে গোলাম আযম সাজা চলাকালে মারা যান। আর মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ২০১০ সালের জুনে মতিউর রহমান নিজামী গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শপথ গ্রহণের পর নতুন আমির মকবুল দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ইসলামের নামে যেকোনো ধরনের চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন আমির সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ দেবেন। এ লক্ষ্যে তিনি মজলিশে শুলরার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মতামত নিচ্ছেন।
দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, সেক্রেটারি জেনারেল পদে নতুন আমির যে মতামত পাচ্ছেন, তাতে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান ও ঢাকা মহানগর আমির রফিকুল ইসলাম খানের নাম বেশি আলোচিত হচ্ছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক তাসনীম আলম, নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও চট্টগ্রামের সাবেক আমির শামসুল ইসলামের নামও আসছে।
ওই সূত্রটি জানায়, এর মধ্যে শফিকুর রহমানের ব্যাপারে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ অসন্তুষ্ট ছিলেন। ফাঁসির আগে এ দুই নেতা পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের কাছে শফিকুরের ‘আন্দোলন বিমুখ’ নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর দলের বড় একটি অংশের অভিযোগ, রফিকুল ইসলাম উগ্রতাকে প্রাধান্য দেন। এই অবস্থায় সেক্রেটারি জেনারেল কে হচ্ছেন, তা নিয়ে দলের ভেতরে নানা গুঞ্জন চলছে।
জামায়াত সূত্র জানায়, দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুররা এবং জেলা ও মহানগর কমিটির নির্বাচন চলছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন আমির নির্বাচিত হয়েছেন। চট্টগ্রামে শামসুল ইসলামের পরিবর্তে মো. শাহজাহান নতুন আমির হয়েছেন। কেন্দ্রীয় মজলিশে শুষরা গঠনের পর নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও সহকারী সেক্রেটারিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।