সড়কের মাঝখানে সাঁকো চলাচলে ভোগান্তি

ছয় মাস আগে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কবলে পড়ে মহেশখালীর ধলঘাটের সুতরিয়া-নাসির মোহাম্মদ ডেইল সড়কের মাঝখানে ভেঙে যায়। চলাচলের জন্য সাঁকো দিয়ে জোড়া লাগানো হয় ভাঙা সড়ক। তবে হাঁটাচলা করা গেলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে আট গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটার। এর মধ্যে বনজামিরা থেকে সুতরিয়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি দুই কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এর মধ্যে নাসির ডেইল এলাকায় সড়কের মাঝখানে ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।

স্থানীয় লোকজন জানান, ভাঙা সড়ক সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে চেয়ারম্যান ভাঙা সড়কের ওপর সাঁকো নির্মাণ করে দেন।

ধলঘাটের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুন্নবী জানান, সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে নাসির মোহাম্মদ ডেইল, মুহুরিঘোনা, সুতরিয়া, সরইতলা, বনজামিরা, সাপমারার ডেইল ও পণ্ডিত ডেইল এলাকার বাসিন্দারা। এরপরও ভাঙা সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

মুহুরিঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, সাঁকোর ওপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

ধলঘাট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আমি নিজ উদ্যোগে মাটি দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করলেও তা–ও ভেঙে যায়। এখন জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে ওই ভাঙা সড়কে সাঁকো স্থাপন করেছি।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, শিগগিরই ভাঙা সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ভাঙা সড়ক সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।