রামপুরায় 'গোলাগুলিতে' নিহতদের পরিচয় মিলেছে

রামপুরায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ নিহত দুই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন বাড্ডার কৃষি ব্যাংক রোডের বাসিন্দা স্বপন (২৮) ও পবিত্র সমাদ্দার (৩৫)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে দুজনের বাবা স্বপন ও পবিত্র সমাদ্দারের মরদেহ শনাক্ত করেন। তাঁরা দাবি করেন, স্বপন ও পবিত্রর বিরুদ্ধে একটি করে মামলা থাকলেও তাঁদের কাছে অস্ত্র নেই। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে র‌্যাব-৩-এর একটি দলের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ ওই দুই যুবক নিহত হন।
স্বপনের বাবা মাছ বিক্রেতা মো. সিরাজ মর্গের সামনে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সিঙ্গারচূড়ায়। তাঁরা সপরিবারে বাড্ডার কৃষি ব্যাংক রোডে ভাড়া থাকেন। স্বপন বিবাহিত, পেশায় রিকশাচালক। তিন বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একটি অস্ত্র আইন মামলা হয়েছিল। সম্প্রতি ওই মামলায় স্বপন আদালত থেকে জামিন পান। তবে তিনি পুলিশের কোনো ঝামেলায় পড়তে পারেন বলে মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। বেসরকারি একাধিক টিভির খবর দেখে স্বপনের মৃত্যুর বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হন।
পবিত্রর বাবা নটোর সমাদ্দার বলেন, পবিত্র আখের রস বিক্রি করতেন। তাঁরা টিভি রোডে বস্তিতে থাকলেও পবিত্র স্ত্রীকে নিয়ে গেন্ডারিয়ায় থাকতেন। দুই বছর আগে পবিত্রর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা হয়েছিল। এ কারণে তাঁর মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করত। টিভিতে খবর দেখে তিনি পবিত্রর মৃত্যুর খবর জেনেছেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম শিপতিতে।
গতকাল বিকেলে মর্গ থেকে স্বপন ও পবিত্রর মরদেহ নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।
র‌্যাব-৩-এর পরিচালক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারওয়ার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, র্যাবের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ নিহত পবিত্রর বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির অভিযোগে তিনটি এবং স্বপনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, পবিত্র ও স্বপন রামপুরা এলাকার উঠতি সন্ত্রাসী।