উদ্বোধনের এক বছর পর চালু টিএসসিসি

উদ্বোধনের এক বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।
কার্যক্রম শুরুর এ অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার না থাকা, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ না জানানো, জোটের প্রতিনিধিদের না জানানো এবং নির্মিত অবকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। তারা অনুষ্ঠান বর্জনও করে।
টিএসসিসি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান স্বাগত বক্তব্য দেন। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক টি এম এম নুরুল মোদ্দাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সমকাল নাট্যচক্রের সাবেক সভাপতি সাজু সরদার বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দারের স্ত্রী চম্পা সমাদ্দারসহ পরিবারের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আশির দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিকর্মীরা ক্যাম্পাসে টিএসসিসির দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ ১৯৮৪ সালে ৯৮২ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট টিএসসিসি ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেয়। ভবনটি তৈরির একপর্যায়ে ২০০৬ সালে ধসে পড়ে। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নতুন নকশায় এটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ভবনটি উদ্বোধন করেন।
টিএসসিসির পরিচালক টি এম এম নুরুল মোদ্দাসের চৌধুরী বলেন, টিএসসিসির মিলনায়তনে ধারণক্ষমতার বিষয়টি মাথায়
রেখে শুধু নির্বাচিত অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সবাইকে জানানো সম্ভব হয়নি। জোট থেকে পরিচালনা পর্ষদের যে চারজন প্রতিনিধির নাম দেওয়া হয়েছে, তাদের এখনো পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। টিএসসিসির নতুন অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হচ্ছে। সেটি হলে এসব সমস্যা নিরসন হবে।