'মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশকে পাল্টে দেবে'

বেলুন উড়িয়ে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীসহ অতিথিরা। ছবিটি নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে থেকে তোলা l প্রথম আলো
বেলুন উড়িয়ে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীসহ অতিথিরা। ছবিটি নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে থেকে তোলা l প্রথম আলো

মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জমির ওপর এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এখানে ২০ থেকে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল চট্টগ্রামকে তো বটেই, পুরো দেশের চেহারা পাল্টে দেবে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রশিক্ষণ মাঠে মেলার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পবন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, জেলা পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাব উদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার।

অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, একসময় চট্টগ্রামে অনেক বড় বড় ব্যবসা ছিল। কিন্তু নানা কারণে অনেক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। একসময় চট্টগ্রামে অনেক চামড়া কারখানা ছিল, কিন্তু এখন মাত্র দুটি রয়েছে। পাদুকাশিল্পের জন্য চট্টগ্রাম বিখ্যাত ছিল, কিন্তু সেই ব্যবসাও কমে এসেছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে এসব ব্যবসা ফিরিয়ে আনতে লেদার ভিলেজ করা হবে। চট্টগ্রামে দুটি বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এখানে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটিকে ঘিরে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি যদি এই দিনটিতে ফিরে না আসতেন, তাহলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আর কারও থাকত না।

উন্নয়নের পরিকল্পনায় তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা গেলে দেশ সত্যিকার অর্থেই এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।

মাদক ও জঙ্গিবাদকে উন্নয়নের বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন পুলিশ সুপার। বিশেষ করে মাদককে নিয়ন্ত্রণ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আয়োজকেরা বলেন, মেলায় সরকারি ও বেসরকারি ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ১০৭টি স্টল রয়েছে। মেলা চলবে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্নয়ন মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।

মেলায় অংশ নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ও। কার্যালয়ের উপপরিচালক (জেলা) জমির উদ্দিন বলেন, অনলাইনে পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়ার আবেদন কীভাবে করতে হয়, সেটি দেখানো হচ্ছে মেলায়। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব বন্ধুচুলা তৈরি, পরিবেশের বিভিন্ন আইনকানুন সম্পর্কেও আগ্রহী দর্শনার্থীদের লিফলেট দেওয়া হচ্ছে।

উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনের আগে শোভাযাত্রা বের করা হয়। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।