যাতায়াত ও বাণিজ্যের জন্য যশোরের গুরুত্ব অনেক

বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের অন্যতম প্রবেশদ্বার হচ্ছে যশোর। দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় ৫০ ভাগই বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। এ জন্য যশোরের গুরুত্ব অনেক। তাই এ অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে যশোরে এই ভিসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

যশোরে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় গতকাল বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ কথা বলেন।

ভিসা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যশোরের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম ও স্বপন ভট্টাচার্য।

বক্তারা উল্লেখ করেন, এটি বাংলাদেশে দ্বাদশ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র। খুলনা বিভাগের দ্বিতীয় কেন্দ্র এটি। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে অন্তত সাত জেলার মানুষের সুবিধা হবে।

খুলনা-কলকাতা ট্রেন চলাচল শিগগিরই চালু হবে

এর আগে ভারতের হাইকমিশনার নড়াইলে পৌঁছে প্রথমে তুলারামপুরে শুভ্রা মুখার্জি প্রি-ক্যাডেট স্কুলে চারটি ল্যাপটপ ও সেখানকার মন্দিরে দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) দেন। স্কুলের অনুষ্ঠানে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, শিগগিরই খুলনা-কলকাতা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

দুপুরে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা নড়াইল শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের সীমানাপ্রাচীরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

উল্লেখ্য, ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের এ প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।

পরে ভারতীয় হাইকমিশনার নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে ভারতীয় অনুদানে নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ছাত্রী হোস্টেল পরিদর্শন করেন।

ভারতের হাইকমিশনারের এসব কর্মসূচিতে নড়াইলের জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বেলা পৌনে দুইটার দিকে নড়াইল ছেড়ে যান ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।