সহিংসতার বিরুদ্ধে চাই ঐক্য

অব্যাহত সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্য প্রয়োজন। এ লড়াইয়ে জিততে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষে সক্রিয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে তৎপর হতে হবে। নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। এমন অবস্থান থেকে ঐক্যের আহ্বান দিতে হবে সরকারি দলকেই।

গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘অব্যাহত সহিংসতার বিরুদ্ধে চাই ব্যাপকতম জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা চক্রের ধারণাপত্রে এ আহ্বান জানানো হয়। সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ ওই আলোচনার আয়োজন করে।

আলোচনা চক্রে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচনের আড়ালে যুদ্ধটা শুরু করেছে, যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল তারা। দেশি-বিদেশি সেই পরাজিত শক্তিরা আজ জয়ী হতে চায়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজাকারদের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়তে হবে। এ জায়গাতে গণচাপ, গণপ্রতিরোধের বিকল্প কিছু নেই।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেন, নাশকতা ও সহিংসতার জন্য সাধারণ মানুষ দুই পক্ষকে দায়ী করে। মানুষ এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চায়। এ জায়গায় সামাজিক শক্তি মিলে যদি কিছু একটা করে। যদি সামাজিক উজ্জীবন ঘটানো যায়, তাহলে একটা ঐক্য হতে পারে। জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া মুক্তির পথ আছে বলে মনে হয় না।

গবেষক ও শিক্ষক সলিমুল্লাহ খান বলেন, অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনার জায়গা থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে। গণতান্ত্রিক জাতীয় চেতনা গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। সাধারণ মানুষের মধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাড়াতে হবে।

অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, সহিংসতার অগ্রমুখে আছে জামায়াত। জামায়াতের এই সহিংসতার মূল কারণ হচ্ছে, এটা তাদের মরা-বাঁচার প্রশ্ন। যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সফল হয়, তাহলে তো জামায়াতের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটি শর্ত হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য ভাঙা।

মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া বক্তব্য দেন।