গণিত অলিম্পিয়াড থেকে অনেক পদক এখন বাংলাদেশের ঝুলিতে

ক্যামেরাবন্দী করছে প্রিয় মুহূর্ত
ক্যামেরাবন্দী করছে প্রিয় মুহূর্ত

আমাদের দেশে গণিত অলিম্পিয়াডের আন্দোলন, গণিত উৎসব একটি অত্যন্ত সফল উদ্যোগ। শুরু থেকেই যুক্ত থাকার সুবাদে আমার অহংকারের সীমা নেই। কতগুলো অত্যন্ত জরুরি উপাদানের সমন্বয় ঘটায় এই আন্দোলন বেগবান হয়। অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপস্থিতি, মুনির হাসানের মতো উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী কর্মী, প্রথম আলো–ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও পৃষ্ঠপোষকতা, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব, আমাদের শিশু–কিশোরের সীমাহীন উৎসাহ, ততোধিক উৎসাহের অভিভাবক এবং সর্বোপরি বিদেশে বড় হওয়া অগাধ দেশপ্রেমে উদ্ভাসিত ড. মাহবুব মজুমদার। এই আন্দোলন যে এতটা জনপ্রিয় হবে তা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আর এত দ্রুত যে বহুমাত্রিক সাফল্য আসবে তা–ও আমাদের স্বপ্ন ছাড়িয়ে গেছে। গণিত অলিম্পিয়াড থেকে নানা রঙের অনেক পদক এখন বাংলাদেশের ঝুলিতে। এই অলিম্পিয়াড করে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই আমাদের ছেলেমেয়েরা বিশ্বখ্যাত এমআইটি, হার্ভার্ড, ক্যালটেক, কেমব্রিজে আমাদের দেশের পতাকা ওড়াচ্ছে ড. মাহবুব মজুমদারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও উপদেশে। সারা দেশে আয়োজিত হচ্ছে আঞ্চলিক গণিত প্রতিযোগিতা, যাতে ছাত্রদের থেকে অভিভাবক ও অন্যান্য উৎসাহী মানুষের অংশগ্রহণ কম নয়। দেশ হিসেবে আমরা র‍্যাংকিংয়ে বেশ এগিয়ে। ২০১৫ সালে আমরা দল হিসেবে ভারতকে পেছনে ফেলেছিলাম। ২০১৬ সালেও আমরা তাদের সঙ্গে সমান তালে চলেছি। গণিত অলিম্পিয়াডকে কেন্দ্র করে যেসব লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক, ফিল্ডস মেডাল ও নোবেল পুরস্কার—সেই স্বপ্ন যে বাস্তবায়ন হবে তার সম্ভাবনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গণিত অলিম্পিয়াডের স্বেচ্ছাসেবীরা এই আন্দোলনকে প্রশংসনীয় দ্রুততায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজে একমাত্র উদ্বৃত্ত জনসংখ্যার দেশে গণিত অলিম্পিয়াডের পাশাপাশি অন্যান্য অলিম্পিয়াডের সূচনায় বাংলাদেশ দক্ষ মানবসম্পদের ওপর ভর করে সমৃদ্ধি অর্জন করবে তা আমাদের সবার কামনা।

সদস্য, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি