পুলিশ কনস্টেবলসহ নিহত ৮

সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন গতকাল সোমবার এবং একজন আগের দিন রোববার নিহত হন। এ নিয়ে গত ৪৬ দিনে বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৪২৮ জন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোঘল হোসেন (৫০) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। রূপগঞ্জ থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলার বাংলাক্যাট পুলিশ চেকপোস্টে গতকাল ভোরে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল মোঘল হোসেন। তিনি একটি পিকআপ ভ্যানকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু সংকেত না মেনে মোঘলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় পিকআপটি। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মোঘলের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার সায়দাবাদ এলাকায়। পিকআপ ভ্যানের চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন সিঅ্যান্ডবি কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সামনে গতকাল সকালে লরির চাপায় মো. মুন্না (২২) নামে মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। লরিটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়েছেন। নিহত মুন্না হাটহাজারীর কুয়াইশ এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গতকাল সকালে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় সুরমান সরদার (৩৫) নামের এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিন পাড়ার মৃত এলেম সরদারের ছেলে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কানড়া নামক স্থানে রোববার রাতে গাড়ির ধাক্কায় রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর বাড়ি সরকাপুর গ্রামে।
জামালপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. সোলাইমান হোসেন (৩৫) নামের মোটরসাইকেলের এক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। গতকাল রাত সাড়ে সাতটার দিকে জামালপুর-মাদারগঞ্জ উপজেলার রশিদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী গ্রামে। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরা সদর উপজেলার কদমতলায় রোববার সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন শ্রীদাম বিশ্বাস (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, মাগুরা শহরের নতুন বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে একটি বড় টেম্পো (স্থানীয় নাম গ্রামবাংলা পরিবহন) শ্রীপুর যাচ্ছিল। টেম্পোটি কদমতলায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে আঘাত করে। এতে টেম্পোর আট যাত্রী আহত হন। তাঁদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে শ্রীদাম বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় গতকাল দুটি দুর্ঘটনায় এক শ্রমিকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ জানায়, বেলা ১১টার দিকে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কের বারইপাড়ায় বাসের চাপায় ইদ্রিস মিয়া (৪০) নামের এক শ্রমিক আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে। তিনি বারইপাড়ার এনার্জিপ্যাক নামের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ইদ্রিসের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কারখানার শ্রমিকেরা বাসচালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুরে বাসের চাপায় রানা (২৩) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। রানা ঠাকুরগাঁওয়ের রহিয়া থানার মধুপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি দিন তিনেক আগে এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।