স্বাস্থ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য উপাত্ত

দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্ভরযোগ্য ও সময়ানুগ উপাত্ত দরকার। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে, কর্মক্ষমতা পরিমাপ করতে এবং সম্পদের হিসাব রাখতে উপাত্ত অপরিহার্য। স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতাদেরও হালনাগাদ তথ্য-উপাত্তের দরকার হয়।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্যের সিদ্ধান্তের জন্য উপাত্ত’ (ডাটা ফর ডিসিশন এন হেলথ) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাঁরা এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, আইসিডিডিআরবি, ইউএসএআইডিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

আজ রোববার দ্বিতীয় দিন বিকেলের প্যানেল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেবা প্রদান, প্রশাসনিক নজরদারি এবং সমন্বয়ের কাজে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

এ অধিবেশনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আইসিডিডিআরবি, ইউএনএফপিএ স্বাস্থ্য খাতে কে কী সহায়তা দিচ্ছে, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে তা বর্ণনা করেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপদেষ্টা শেহলিনা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে দাতাদের সহায়তাও কমে আসছে। তবে সৃজনশীল বা উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প পেলে দাতারা তাতে সহায়তা করবে।

দুই দিনের আটটি বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে ৩০টির বেশি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।