এসএম হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ১২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে আসন নিয়ে ছাত্রলীগের হল শাখার দুটি দলের সংঘর্ষে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। হলের দ্বিতীয় তলায় বারান্দার আসন নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের সময় দুই দলের সমর্থকেরা স্টাম্প, রড, চাপাতি ও লাঠি নিয়ে পরস্পরের দিকে তেড়ে যান। সংঘর্ষে দোতলার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩০টি বিছানা-চৌকি ভাঙচুর, জিনিসপত্র তছনছ করা হয়, একটি ল্যাপটপ ভাঙচুর ও দুটি ল্যাপটপ চুরি হয়। পরে হলের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় সভাপতির সমর্থকেরা এবং সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকেরা মাঠে অবস্থান নেন। গভীর রাতে দুই দলের মধ্যে ধাওয়া এবং ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রাত একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবিদ আল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আরিফুর রহমান আরিফ ও সংগীত বিভাগের একই বর্ষের রায়হান কবিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে রাখা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেছেন, তিনি রাতে হলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে চারটায় এসএম হলের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, হলের বারান্দায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিছানা-চৌকি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় প্রত্যেকের ফ্যান ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র দোতলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।