কওমি আলেমদের হীনমন্যতায় ভোগার দিন শেষ

কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সরকার স্নাতকোত্তর সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় কওমি আলেমদের হীনমন্যতায় ভোগার দিন শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের বুখারি শরিফের শেষ ক্লাসে ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। মাদ্রাসাটির মহাপরিচালক তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আহমদ শফী বলেন, ‘এখন আপনাদের শিক্ষা সরকারিভাবে মর্যাদা পেয়েছে। ছাত্রজীবনে অর্জিত ইলমকে নানা ক্ষেত্রে আরও কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। নানা পর্যায় থেকে কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এবং আলেমদের আদর্শচ্যুত করার বহুবিধ ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে। আলেমগণ নীতি ও লক্ষ্যে অবিচল থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষতি করতে পারবে না।’
১৩ এপ্রিল কওমি সনদকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আগে ১১ এপ্রিল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ওলামায়ে কেরামদের নিয়ে বৈঠকে কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দেন।
সমাপনী ক্লাস ও দোয়া মাহফিলে দাওরায়ে হাদিসের আড়াই হাজার ছাত্র অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও দোয়ায় শরিক হন। ছাত্রদের উদ্দেশে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব ও মাদ্রাসার শিক্ষক জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা জসীম উদ্দিন, মাওলানা ফোরকান আহমদ ও মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী প্রমুখ।