যোগদানের অনুমতি পাচ্ছেন কারাবন্দী দুই সাংসদ

দুই কারাবন্দী সাংসদ আমানুর রহমান খান (রানা) ও এম এ হান্নান দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন। সাংসদ আমানুর একটি খুনের মামলায় সাত মাস ধরে এবং সাংসদ এম এ হান্নান একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দেড় বছর ধরে কারাগারে আছেন।
৩০ মে দশম জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশন বসছে। এটি এ বছরের বাজেট অধিবেশন।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই সাংসদের এ অনুমতি-সংক্রান্ত নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছি।’
আজ বৃহস্পতিবার কারা অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান ও ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ এম এ হান্নান সংসদে যোগদানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। সংসদ সচিবালয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আবেদনগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
সাংসদ আমানুর টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তখন থেকে তিনি কারাবন্দী। খুনের মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির পর্যায়ে আছে।
অন্যদিকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ এম এ হান্নান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেওয়া হয়েছে। এ মামলায় আদেশের জন্য ২৯ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ২০১৫ সালে কারাবন্দী অবস্থায় অধিবেশনে যোগ দিতে স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও ২০১১ সালে সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁরা সে সুযোগ পাননি। তবে ১৯৯১ সাল থেকে পঞ্চম জাতীয় সংসদের পুরোটা সময়কালেই এ বিশেষ ব্যবস্থায় অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন তখনকার কারাবন্দী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।