জাতিকে উপস্থাপন করে জাদুঘর

একটি জাতির ক্রমবিকাশের রূপ দেখা যায় একটি জাদুঘরের মাধ্যমে। এ ছাড়া জাতিকে উপস্থাপন করে জাদুঘর। তাই জাদুঘরের উন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি করপোরেট বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।

জাদুঘরের উন্নয়নে করপোরেট সেক্টরের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ১৮তম আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের অঞ্চলভিত্তিক জাদুঘরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতীয় জাদুঘর হচ্ছে প্রাণের উৎস। দেশের বিভিন্ন জাদুঘরের সঙ্গে এর যোগাযোগ থাকবে। তিনি জানান, সাভারে ৫০ একর জমির ওপর একটি জাদুঘর তৈরির কাজ চলেছে। বিমানবন্দর যাওয়ার সড়কে গাছ কেটে বনসাই লাগানোর সমালোচনা করেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ বলেন, জাতির ক্রমবিকাশের রূপ দেখা যায় জাদুঘরের মাধ্যমে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাদুঘরে গেলে এটি দেখা যায়। একটি জাদুঘর সেই দেশের জাতি বা মানুষকে উপস্থাপন করে। বর্তমানে দেশে করপোরেট সেক্টর বিকশিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব করপোরেট সেক্টর জাদুঘরের উন্নয়নে কাজ করতে পারে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বার্জার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জানার বিষয়ে তরুণদের উৎসাহী করতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা অংশ হিসেবে জাদুঘরের প্রতি তাদের দায়িত্ব বোঝাতে হবে। আমরা সবাই মিলে ভালো কিছু করতে চাই।

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনুদ্দীন আহমেদ বলেন, জাদুঘর সরকারি উদ্যোগে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এতে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসতে পারে। তিনি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল খরচের ক্ষেত্রে আয়কর শিথিল করার আহ্বান জানান। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি জানান।

সেমিনারে সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব বেগম আকতারী মমতাজ।