টাঙ্গাইলে দরজি নিখিল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জঙ্গিদের হামলায় নিহত দরজি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার (৫০) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আশরাফ হোসেন আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ এপ্রিল গোপালপুর পৌর এলাকার ডুবাইল বাজারে মোটরসাইকেলে আসা তিন তরুণ দরজি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার দিনই নিখিলের স্ত্রী আরতি জোয়ারদার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে গোপালপুর থানায় মামলা করেন।

ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ এই মামলায় জড়িত সন্দেহে গোপালপুরের শাখারিয়া গ্রামের জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য মোসলেম ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তিনি আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জেএমবির সদস্য মোসলেম তাঁর দুই সঙ্গী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মতিয়ার ওরফে হৃদয় এবং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসানকে নিয়ে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গাতে একটি বাসা ভাড়া নেন। তাঁরা সেখান থেকেই ডুবাইল গিয়ে নিখিলের বাড়ি ও দোকান পর্যবেক্ষণ করেন এবং পরে পরিকল্পনা অনুসারে তাঁকে হত্যা করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, জেএমবির গ্রেপ্তার হওয়া সদস্য মোসলেম ওরফে সুমন, পলাতক সদস্য মতিয়ার ওরফে হৃদয় এবং তাঁদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় বাড়ির মালিক টাঙ্গাইলের এলেঙ্গার নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামি নজরুল ওরফে বাইক হাসান রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও আলমনগর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলামসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।