আনসার বিদ্রোহ: ১৪৪৭ জনের মধ্যে সক্ষমদের পুনর্বহালের নির্দেশ

১৯৯৪ সালে আনসার বিদ্রোহের পর চাকরি হারানো ১ হাজার ৪৪৭ জনকে পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। যাঁদের বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে ও চাকরি করতে অক্ষম, তাঁদের যে মেয়াদ পর্যন্ত চাকরিতে ছিলেন, সেই মেয়াদ থেকে পেনশন–সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে চাকরিচ্যুত ১ হাজার ৪৪৭ জনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাহাবুদ্দীন খান লার্জ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা। আনসার, মহাপরিচালকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ শেখ।

রায়ের পর সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার চার মাসের মধ্যে রিট আবেদনকারী ১ হাজার ৪৪৭ জনকে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের বয়স শেষ হয়ে গেছে ও অক্ষম, তাঁরা বাদ পড়ার সময় থেকে অবসরকালীন সুবিধা পাবেন, বলেছেন আদালত। সে সময় তাঁরা যে যে পদে ছিলেন, সে পদ ধরেই যোগদান করার সুযোগ দিতে হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সিপাহী ল্যান্স নায়েক, হাবিলদার, কমান্ডার, কোম্পানি টু আইসি আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন।

আইনজীবী সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে বেতন–ভাতা বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আনসার বিদ্রোহ হয়। ওই ঘটনায় ২ হাজার ৪৯৬ জন ব্যাটালিয়ন আনসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিদ্রোহের মামলায় পরে বিভিন্ন সময় তাঁরা খালাস পান। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা যোগদান করতে চাইলেও ২০০০ সালের পর থেকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এরপর চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে ২০১৫ সালে ২৮৯ জন চাকরিচ্যুত আনসার সদস্য হাইকোর্টে রিট করেন। এর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল ১ হাজার ৩৭৩ জন হাইকোর্ট একটি রিট করেন। ৭৪ জন অপর রিটটি করেন। এগুলোর ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হলো।