'লিপ সার্ভিস' ছাড়া বন্যায় কোনো সার্ভিস নেই: খালেদা জিয়া
ভারী বর্ষণে তিস্তা, ধরলা, পুনর্ভবা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের কয়েকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। সরকারের ‘লিপ সার্ভিস’ (মুখের কথা) ছাড়া বন্যা মোকাবিলায় বাস্তব কোনো সার্ভিস নেই।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়া এ অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে কোনো জরুরি ত্রাণ তৎপরতা নেই। বন্যাদুর্গত মানুষকে নিরাপদে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, জনগণকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় থাকাটাই বর্তমান সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য, তাই জনদুর্ভোগকে তারা কখনোই আমলে নেয় না।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে নদীগুলো ফুলে ফেঁপে ওঠায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি এখন মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এর ওপর তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের গেটগুলো খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীর পানি এখন বিপৎসীমার সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি নদীর দুই তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল, বসতবাটি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং মানুষের জীবনজীবিকা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া অন্য নদীগুলোর উজানের দিক থেকে ধেয়ে আসা প্রবল পানির স্রোতে বাংলাদেশের ব্যাপক এলাকা এখন পানির নিচে। হু হু করে বয়ে আসা বন্যার পানিতে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাটের নদীসংলগ্ন এলাকাগুলোই শুধু নয়, জেলা শহরগুলোও তলিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন সারা দেশে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সচ্ছল মানুষদের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।