শিশুকে নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ১০ বছরের শিশুকে বলাৎকার ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে দুই মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. নোমান (২২) ও মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (৩৬)। গতকাল বুধবার উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহার ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি মেরুং ইউনিয়নের সওদাগরপাড়া আল ইক্রা হিফজুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। দরিদ্র পরিবারের শিশুটি ওই মাদ্রাসায় থাকত। গত জুন মাস থেকে মাদ্রাসার হাফেজ মো. নোমান বিভিন্ন সময়ে শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করেন। শিশুটি যাতে এ কথা কাউকে না জানায় এ জন্য তাকে মারধর করেন নোমান। শিশুটি কিছুদিন আগে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামকে জানায়। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি গোপন করার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রামের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে নিয়ে গত মঙ্গলবার বাড়ি ফেরে তার পরিবার। এরপর গতকাল শিশুটির বাবা বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, শিশুটির বাবার করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল সকালে থানায় গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ শিশুটি তার মায়ের কোলে বসে আছে। এ সময় শিশুটির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে হাফেজ মো. নোমান বলাৎকারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে সামান্য মারধর করেছেন তিনি।

হাফেজ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবার কাছে ঘটনাটি জেনেছিলেন। কিন্তু নোমান এলাকায় না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বসতে পারেননি তিনি।