পটুয়াখালীতে দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক দৃশ্যমান করল বন্ধুসভা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজার সামনে দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি গতিরোধক রং দিয়ে দৃশ্যমান করছেন বন্ধুসভার সদস্যরা। ছবি: নেছারউদ্দিন আহমেদ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজার সামনে দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি গতিরোধক রং দিয়ে দৃশ্যমান করছেন বন্ধুসভার সদস্যরা। ছবি: নেছারউদ্দিন আহমেদ

প্রথম আলোর ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজার সামনে দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি গতিরোধক রং দিয়ে দৃশ্যমান করে দিয়েছেন বন্ধুসভার সদস্যরা।

আন্ধারমানিক নদের ওপর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের নির্মিত শেখ কামাল সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের টোল প্লাজার সামনের গতিরোধক দুটি রং দিয়ে দৃশ্যমান করার পর বেলা ১১টার দিকে তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার রং করে দৃশ্যমান হওয়ার পর গতিরোধক দুটি উন্মুক্ত করেন।

ট্রাক নিয়ে শেখ কামাল সেতু পার হওয়ার সময় চালক মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘এই পয়েন্টে গতিরোধক ছিল, কিন্তু তা চিহ্নিত করা ছিল না। এতে দ্রুতগতিতে ট্রাক চালাইয়া যাওয়ার সময় মারাত্মকভাবে ধাক্কা খাইতাম। কেউ কেউ দুর্ঘটনারও শিকার হইছে। গতিরোধক চিহ্নিত করার কাজটি কইরা দেওয়ায় আমরা দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাইছি।’

মোটরসাইকেলের চালক মো. সোলায়মান বলেন, ‘গত বছর এই টোল প্লাজার কাছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। একদিন আগেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। প্রথম আলোর মাধ্যমে বন্ধুসভার সদস্যরা গতিরোধক চিহ্নিত করে সত্যি ভালো একটি কাজ করেছে। এর ফলে আমরা উপকৃত হলাম।’

পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজার সামনে দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি গতিরোধক রং দিয়ে দৃশ্যমান করার পর তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ছবি: নেছারউদ্দিন আহমেদ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ কামাল সেতুর টোল প্লাজার সামনে দুর্ঘটনা এড়াতে দুটি গতিরোধক রং দিয়ে দৃশ্যমান করার পর তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ছবি: নেছারউদ্দিন আহমেদ

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুয়াকাটার কারণে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন। শেখ কামাল সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে গতিরোধক না থাকায় পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচলে সমস্যা হতো। প্রথম আলো সেখানে গতিরোধক চিহ্নিত করে দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছে। আমরা প্রথম আলোর কাছে সত্যিই ঋণী হয়ে গেলাম।’

এ সময় কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু ছাইদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস জাহান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন মাননু, কলাপাড়ার ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমীন, আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ সুজা উদ্দিন, প্রথম আলোর প্রতিনিধি নেছারউদ্দিন আহমেদ, বন্ধুসভার সভানেত্রী শাহিনা নাসরিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান সুজনসহ বন্ধুসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।