ক্রীড়া ফেডারেশনে নামেই নির্বাচন

দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোয় একের পর এক নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু নামমাত্র এসব নির্বাচনে দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে বাকি ফেডারেশনে কোনো ভোট হয় না। কোনো কোনো ফেডারেশনে গঠিত হয় ‘পকেট কমিটি’।
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জমা দেওয়া একক পরিষদ নির্বাচিত হয়ে যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেন না প্রার্থীরা। ফলে ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাচনে তাপ-উত্তাপ বলে কিছু নেই। অনেক ক্ষেত্রে শুধু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার খবরটাই পাওয়া যায়।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০টি ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাচনে ৯টিতেই কোনো ভোট হয়নি। একক পরিষদ জমা দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে শুটিং (১৫ ডিসেম্বর ২০১৬), সাঁতার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭), ব্যাডমিন্টন (২২ ফেব্রুয়ারি), জিমন্যাস্টিকস (মে), হ্যান্ডবল (১১ জুন), ভলিবল (১৪ জুন), আর্চারি (১৬ জুন), রোলার স্কেটিং (৭ আগস্ট) ফেডারেশনের নতুন কমিটি।
সর্বশেষ দেশের সবচেয়ে ধনাঢ্য ক্রীড়া ফেডারেশন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনেও সেই একই ধারা। ২৩টি পরিচালক পদে ২০ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আগেই। ভোট হয়েছে মাত্র তিনটি পদে। বিসিবির ২০১৩ সালের নির্বাচনেও ২৬টি পরিচালক পদে ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। সেবার পরিচালকদের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন। এবারও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।
দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাচন হয়েছে গত এপ্রিলে। সেখানেও অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহাসচিব নির্বাচিত হন সরকার-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সাবেক রাষ্ট্রদূত সৈয়দ শাহেদ রেজা। তাঁর সমর্থিত প্রার্থীদেরই জয়জয়কার ছিল এই নির্বাচনে। ৫টি সহসভাপতি পদের ২টি, ৩ উপমহাসচিব পদের ১টি ও ২০টি সদস্য পদের ৫টিতে কোনো ভোটের প্রয়োজন পড়েনি।
২০১৩ সালের জুলাইয়ে হকি, একই বছরের নভেম্বরে খো খো, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাতে, ওই বছরের নভেম্বরে শরীর গঠন, গত বছরের মে মাসে রোইং ফেডারেশনের নির্বাচনেও ভোট হয়নি। একক পরিষদ জমা পড়েছে, সরাসরি নির্বাচিত হয়ে গেছেন সবাই। অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, কাবাডি, ব্যাডমিন্টনসহ প্রায় সব ফেডারেশনেই সমঝোতার কমিটি হয়েছে সর্বশেষ নির্বাচনে।
২০১৪ সালের ১৮ জুলাই টেবিল টেনিসের নির্বাচনে অবশ্য ‘ব্যালট লড়াই’ হয়েছিল। ২০১৫ জানুয়ারিতে বাস্কেটবলের নির্বাচনে একটি পক্ষ সরে গেলেও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, তাঁরা ভোটে নির্বাচিত। গত বছরের ৩১ মে দাবায় সদস্যসহ কয়েকটি পদে ভোট হয়েছিল। একই বছর বক্সিংয়ে সদস্য ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ভোট হয়েছে। গত বছরের মার্চে জুডোর নির্বাচনে শুধু সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস করার জোয়ারের মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু ফুটবল। ২০০৮ সাল থেকে ফিফার নিয়মে এই ফেডারেশনে নির্বাচন হয়ে আসছে এবং সেটা আক্ষরিক অর্থেই ‘ভোট-যুদ্ধ’। গত বছরের এপ্রিলে সর্বশেষ নির্বাচনে তীব্র লড়াইয়ে তৃতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।
অন্যদিকে উদ্যোগ ও আন্তরিকতার অভাব এবং মামলার কারণে আটটি ফেডারেশনের নির্বাচন চলে গেছে নির্বাসনে। ‘অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজনের’ দায়িত্ব দিয়ে এসব ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। কিন্তু নির্বাচন আর হচ্ছে না। গত বছরের জুলাইয়ে যেমন মেয়াদ শেষ হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত কমিটির, সেখানে গত ১ মার্চ গঠিত অ্যাডহক কমিটি আট মাসের বেশি পার করে দিলেও নির্বাচনের আলোচনাই নেই। গত বছরের ১৬ মে সাইক্লিংয়ের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে গত মার্চে গঠিত হয় অ্যাডহক কমিটি। গত বছরের ৩০ জুলাইয়ে কাবাডি, এ বছরের এপ্রিলে অ্যাথলেটিকসে অ্যাডহক কমিটি হয়েছে। কুস্তি ও তায়কোয়ান্দোর মেয়াদ গত বছরের জুলাইয়ে শেষ হলেও নির্বাচন হয়নি। দুটি ফেডারেশনেই আগের কমিটি বহাল আছে।
ভারোত্তোলনে ২০০৮ সালের পর আর নির্বাচনই হয়নি। ওই ফেডারেশনে গত বছরের জুনে অ্যাডহক কমিটি করা হয়। সেই ক মিটি সাত মাসের মধ্যে বাতিল করে আরেকটি অ্যাডহক কমিটি করা হয়। তবু নির্বাচন হচ্ছে না। মামলার কারণে ২০০৪ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি টেনিস ফেডারেশনে। টেনিসে লম্বা সময় ধরে দায়িত্বে আছে অ্যাডহক কমিটি। এসব দেখে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ও সংগঠক কামরুন নাহার ডানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনএসসি কোথাও নির্বাচন করছে, কোথাও নির্বাচন না করে অ্যাডহক কমিটি করছে। এটা ঠিক নয়।’
অ্যাডহক কমিটিগুলো করার সময় এনএসসির সচিব ছিলেন অশোক কুমার বিশ্বাস। কিছুদিন আগে তিনি বদলি হয়ে গেছেন। অ্যাডহক কমিটি করার কারণ হিসেবে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এতগুলো সংগঠনের মধ্যে যারা নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়, তখন পরবর্তী নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অ্যাডহক কমিটি করতে হয়।’ কিন্তু অ্যাডহক কমিটি নির্বাচন করছে না কেন প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘নির্বাচন করবে ফেডারেশন। তবে অ্যাডহক কমিটিকে দ্রুত নির্বাচন করতে এনএসসি বারবার চিঠি দেয়। অনুরোধ করে। তারা সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত হলে এনএসসি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। যতক্ষণ ফেডারেশন প্রস্তুত না হয়, ততক্ষণ এনএসসি কী করতে পারে?’ তবে সাধারণ অভিমত হলো, নির্বাচন নিয়ে এনএসসি-ফেডারেশন কারোরই তাড়া দেখা যাচ্ছে না।
অ্যাডহক কমিটির কর্মকর্তা মনোনয়ন নিয়েও থাকে প্রশ্ন। যেমন ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে এনএসসিরই পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথকে। সম্প্রতি এনএসসির সচিবের সঙ্গে তিনিও বদলি হয়ে গেছেন। তাঁর ব্যাপারে বদলি হওয়ার আগে এনএসসির সচিব বলেন, ‘ভারোত্তোলনে সে রকম যোগ্য সংগঠক পাওয়া যায়নি বলে এনএসসির একজন পরিচালককে দায়িত্ব দিতে হয়েছে।’ তবে ৪১ বছর ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা মহিউদ্দিন আহমেদ এই যুক্তি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যেই কাউকে দায়িত্বটা দিতে পারত এনএসসি। এভাবে খেলার বাইরের লোক বা ঠিকাদার দিয়ে ফেডারেশন পরিচালনা ঠিক নয়।’
নির্বাচন হলেই বা কী! ক্রীড়া ফেডারেশনে নির্বাচন মানেই জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ বা ফোরামের দাপট। একটি ফেডারেশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটই জেলার। তাই জেলার ভোটাররা যা চান, সেটাই হয়। যেমন জেলার সমর্থন নিয়ে সাঁতার ফেডারেশনের আগের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন গাজীপুরের রফিজ উদ্দিন। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফেনী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার ফোরামের অন্যতম নেতা। বিওএ সাবেক সহসভাপতি, সাবেক সাংসদ ও সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি মিজানুর রহমান মানু প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ফোরাম ইচ্ছা করলে সবই করতে পারে।’

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ
ফোরামের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ক্রিকেট (২০১৩) ও ফুটবলের নির্বাচন ঘিরে কাউন্সিলরশিপ কেনাবেচার গুঞ্জনও আছে। ফুটবলে লাখো টাকায় ভোট বিক্রি হয়েছে বলে প্রচার আছে। অন্য অনেক নির্বাচনেও এই অভিযোগটা পাওয়া যায়।
এসব নিয়ে প্রশ্ন করলে ফোরামের মহাসচিব নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বিওএর উপমহাসচিব আশিকুর রহমান অবশ্য সেটি অস্বীকার করে বলেন, ‘ফোরামের জন্ম থেকেই আর্থিক বিষয়ে অভিযোগ শুনে আসছি। কিন্তু আমি কাউকে একটি টাকার বিনিময়েও মনোনয়ন বা সমর্থন করিনি।’ যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে ফুটবলের নির্বাচনে ক্লাবের লোক পয়সা খেয়েছে, জেলাও খেয়েছে। কোনো কোনো ক্লাব ভোট বিক্রি করেছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায়।’ তারপর তাঁর মন্তব্য, ক্রীড়াঙ্গন তো সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।
সম্প্রতি ঢাকায় ফুটবলের এক অনুষ্ঠানে জামালপুরের সংগঠক আবদুল্লাহ আল রেদোয়ান প্রকাশ্যেই বলেছেন, ফুটবলের নির্বাচনে বস্তা ভরা টাকা ছিল, এখন নেই কেন? নির্বাচনের পর ফুটবল ফেডারেশন সময়মতো লিগ আয়োজনে জেলাকে টাকা না দেওয়ায় ওই প্রশ্ন তোলেন তিনি। টাকাই যেন মূল শক্তি হয়ে উঠেছে এসব নির্বাচনে।

নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের হাতে
পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাচ্ছে ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃত্ব। যেমন ভলিবল ফেডারেশনের পাঁচ সহসভাপতিই ব্যবসায়ী। এই ফেডারেশনের সরকার মনোনীত সভাপতিও একজন ব্যবসায়ী—বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
তবে সম্প্রতি হ্যান্ডবল, ভলিবল, আর্চারি ফেডারেশনে সত্যিকার সংগঠকেরা এসেছেন দাবি করে ফোরাম নেতা আশিকুর রহমান বলছেন, ‘সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় বসানো হচ্ছে।’ তবে ক্রীড়া ফেডারেশনে সব জায়গায় সঠিক লোক বসছেন না, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

রাজনৈতিক প্রভাব
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৬ সালে বগুড়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান ঢাকায় সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হন প্রথমে। পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক। গত ফেব্রুয়ারিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হওয়া এম বি সাইফ গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রথমে সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হন। তবে সাইফ বলেন, ‘১৬ বছর ধরেই গোপালগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় আছি। বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক এবং সংস্থার সাঁতারের আহ্বায়ক ছিলাম। আমি সাঁতারেরই লোক। হঠাৎ করে আসিনি।’
তবে হঠাৎ ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন হওয়ার খবর শুনে অবাক খোদ ক্ষমতাসীন দলের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং অভিজ্ঞ সংগঠক হারুনুর রশীদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন মানেই প্রতিযোগিতা থাকবে। দু-এক জায়গায় ব্যতিক্রম হতে পারে। কিন্তু এখন হঠাৎ শুনি, অমুক ফেডারেশনে নির্বাচন হয়ে গেছে। কোনো কোনো মহল একজোট হয়ে গেলে আর নির্বাচন হয় না। এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
অথচ ক্রীড়াঙ্গনে স্বাধীনতার পর কিছু ফেডারেশনে নির্বাচন হয়েছিল। এরপর ক্ষমতায় ফিরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন দেয় ১৯৯৮ সালে। তখন রিটার্নিং অফিসার ছিলেন এনএসসির সচিব এ এম এম আলী কবির। বর্তমানে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এই সিনিয়র সচিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। এটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলা যাবে না। তবে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় নির্বাচনটা অর্থবহ হচ্ছে না।’
এমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে কেন, এনএসসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি চাই সঠিক গণতন্ত্রচর্চা। কোনো সমঝোতা নয়।’ নির্বাচনের নামে পদ ভাগ-বাঁটোয়ারার ব্যাপারে তাঁর কথা, ‘আমি চাই না নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন বা পদ ভাগ-বাঁটোয়ারা হোক। আমি চাই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হোক, যোগ্যরা আসুক।’
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর এই চাওয়াটা পূরণ হলেই ভালো!