সীমান্তে হত্যা আমাদের কাম্য নয়: বিজিবির মহাপরিচালক

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবুল হোসেন রোববার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ের নকশী সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। শেরপুর, ৩ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবুল হোসেন রোববার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ের নকশী সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। শেরপুর, ৩ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, ‘সীমান্তে হত্যা আমাদের কাম্য নয়। সীমান্তে হত্যা বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবেশী দেশকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।’ কুড়িগ্রামে রৌমারী সদর কোম্পানি ও দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে আজ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

হেলিকপ্টারে করে রোববার সকালে রৌমারী উপজেলার সিজি জামান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন বিজিবির মহাপরিচালক। তিনি আরও বলেন, সভা-সেমিনারের মাধ্যমে সীমান্তবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। সীমান্ত টহলে রাস্তা নির্মাণের জন্য ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির কাজ চলছে। মিয়ানমার সীমান্তে যত দ্রুত সম্ভব ডিজিটাল ম্যাপ অনুযায়ী টহল রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

পরে কুড়িগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে শেরপুর যান বিজিবির মহাপরিচালক। সেখানে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের নকশী সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত সীমার পরিমাণ অনেক বড়। এখানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা থাকবেই। তবে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা বেশ ভালো আছে জানিয়ে মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ১৫ হাজার বিজিবি সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। আশা করা যায়, নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।

নকশী সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বিজিবির ময়মনসিংহ এলাকার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কাজী অনিরুদ্ধ, ২৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিসুর রহমান, ঝিনাইগাতী নকশী সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।