তারা সমাজের বোঝা নয়, প্রয়োজন সঠিক উদ্যোগ

মানসিক প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়; সঠিক ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে তাদের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব। আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০১৭ চলাকালে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবেলদের (এনডিডি) জন্য কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা জানান বক্তারা।

বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো টেকসই উন্নয়নের জন্য এনডিডি শিশুদের কর্মসংস্থানের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সূচনা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারপারসন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিবন্ধীরা খুব সক্রিয় থাকে। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘আমি এক ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে। প্রথমে নিতান্তই আমার অনুরোধে বাচ্চাটিকে সেই ব্যক্তি চাকরিতে নেয়। কিন্তু কয়েক মাস পর সেই ব্যক্তি আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে, এমন আরও কিছু কর্মী দিতে পারব কি না, যারা কথা বলতে পারে না বা কানে শোনে না। আমি তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, এই ছেলে বেশ ভালো কাজ করছে এবং সে অন্য কোনো কিছুতে সময় নষ্ট করে না।’

সেমিনারে সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহিরুল আলম বলেন, কর্মক্ষেত্রে এনডিডি ব্যক্তিরা বেশ ভালো কাজ করছে। কিন্তু তাদের যাতায়াত, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অন্যান্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এটুআই প্রোগ্রামের ডাইরেক্টর (ইনোভেশন) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত টকিং বুক এনসিটিবিকে দিয়েছি। গত দুই বছর ধরে জানুয়ারি মাসে প্রতিবন্ধী শিশুদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই বইগুলো। বর্তমানে একটি অভিধান তৈরির জন্য কাজ করছি আমরা।’

এদিকে অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ফোরাম ফর অটিজমের প্রেসিডেন্ট পারুল কুমথা বলেন, ‘আমাদের দেশে এনডিডি শিশুদের কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বেশ কিছু ফাউন্ডেশন। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে এ ক্ষেত্রে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এ ধরনের শিশুর পরিবারকে বোঝানো। এ ছাড়া তার সহকর্মীদের মধ্যে একধরনের কাউন্সেলিং প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তি।