'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত দুজন ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িত!

রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজন বনানীর ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যায় জড়িত থাকতে পারেন। পুলিশের একটি সূত্র এমনটি সন্দেহ করেছে।

আজ শুক্রবার ভোররাতে আফতাব নগরের পূর্ব মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত দুজন হলেন আলামিন ও সাদ্দাম।

সকালে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি, উত্তর) একটি দলের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওই দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এর আগে গত বুধবার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বনানীর ব্যবসায়ী সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যায় জড়িত পিচ্চি আলামিন ও সাদ্দাম নামের দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা প্রবাসী এক ছাত্রদল নেতা, এ কথা জানিয়ে মনিরুল ইসলাম ওই দিন বলেন, ২০১৪ সালে সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি ওই নেতা। তদন্তের স্বার্থে তাঁর নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। তিনিও হয়তো সিদ্দিককে হত্যা করার জন্য অন্য কারও সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকতে পারেন।

সিদ্দিক হোসেন মুন্সি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত মঙ্গলবার হেলাল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তার হওয়া হেলালের দেওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশ জানায়, ইউরোপের একটি দেশে পলাতক এক সন্ত্রাসী হেলালকে এই হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব দেন। তাঁদের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থের চুক্তি হয়। হেলাল একজন পেশাদার খুনি। এই হত্যাকাণ্ডে মোট ছয়জন অংশ নিয়েছিলেন।

গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর বনানীতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে সিদ্দিক মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বনানী বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাসায় সিদ্দিক মুন্সির জনশক্তি রপ্তানির একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।