পকেটে গাঁজা দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ!

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে এক যুবককে আটকের পর মারধর ও পকেটে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ব্রিজ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই যুবকের নাম ইরান হাওলাদার (৩৬)। আর ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন মো. মামুন। তিনি বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই)।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কনকদিয়া ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের আবদুল মান্নান হাওলাদারের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. সাদেক হাওলাদারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যুবলীগের কর্মী ইরান হাওলাদার হলেন আবদুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলেন, ওই বিরোধের জের ধরে দুপুরে ব্রিজ বাজারে সাদেক হাওলাদারের নেতৃত্বে সাত-আটজন লোক ইরানকে আটকের পর মারধর করেন এবং পুলিশে খবর দেন। পরে এসআই মামুনসহ আরও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে সাদেকের পক্ষ নিয়ে ইরানকে মারধর করেন। একপর্যায়ে ইরানের পকেটে গাঁজার পোঁটলা দিয়ে এসআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।

এসআই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, স্থানীয় লোকজন গাঁজাসহ আটক করে ইরানকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি কোনো মারধর করেননি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, ইরান একজন মাদক ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

ইরানের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রতিপক্ষ মো. সাদেকের ঘনিষ্ঠজন হলেন এসআই মামুন। প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে এসআই তাঁকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছেন। থানাহাজতে থাকাকালে ইরান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনো গাঁজা ছিল না। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে পক্ষ নিয়ে পুলিশ প্রকাশ্যে ইরানকে মারধর করেছে। পরে তাঁকে গাজা দিয়ে ফাঁসিয়েছে।