মাদকের পৃষ্ঠপোষকতায় সাংসদের নাম

ওমর ফারুক চৌধুরী
ওমর ফারুক চৌধুরী

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত হচ্ছেন নিরীহ মানুষজন। আর অবৈধ এই ব্যবসা থেকে অল্প সময়ে বিত্তবৈভব গড়ছেন কিছু অসাধু রাজনীতিক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন এ কথা বলছে। ওই প্রতিবেদনে ১৫ জন প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। তাঁদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নাম রয়েছে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে এই তালিকা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আসে গত বছরেরমাঝামাঝিতে। এতে উপসচিব মো. নায়েব আলীর সই রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহীতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের একশ্রেণির অসাধু রাজনীতিক মাদক ব্যবসায় জড়িত। তাঁরা ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা করেন। মাদক ব্যবসা বা চোরাচালান এলাকায় নতুন নতুন মাদকসেবী সৃষ্টি করেছে। এসব মাদকসেবী অর্থের জোগান পেতে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবেই ফারুক চৌধুরী মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় সাংসদের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলামের নামও আছে। অবশ্য আমিনুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এই বিষয়ে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম প্রতিবেদন সরকারের কোন সংস্থা দিয়েছে, তিনি জানেন না।

কে ষড়যন্ত্র করেছে, এ প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, ‘ওই ডিআইজি আছে। তার চেলাচামুণ্ডা থাকতে পারে। তারা হয়তো কাউকে দিয়ে এ রকম কিছু করাইছে।’

ওমর ফারুক চৌধুরী ডিআইজি বলতে যাঁকে বুঝিয়েছেন, তিনি আসলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মতিউর রহমান। তিনি ২০০১ সালে চাকরিচ্যুত হন। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে, তিনি বর্তমানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন।

সাংসদের অভিযোগের বিষয়ে মতিউর রহমান কোনো জবাব দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমি নোংরা কথা কম বলি। অসত্য কথা বলি না। ঘুষ যারা খায়, কখনোই হারিকেন জ্বালিয়ে খায় না। এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না।’

শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় রাজশাহীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে প্রথম ১০ জনের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায়। তাঁরা হলেন রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৩৫), নওশাদ আলী (৬০), মো. সেলিম (৩০), মো. হযরত আলী (৩৫), নাজিবুর (৩৫), তোফাজ্জল (৩৭), হায়দার আলী (৪৩), সোহেল (২৮), সেতাবুর রহমান ওরফে বাবু (২৭) ও টিপু (২৫)। বাকিরা হলেন চারঘাট উপজেলার মো. আশরাফ আলী (৪২), দুর্গাপুর উপজেলার মো. সেলিম, খুকু রানি (বয়স দেওয়া নাই) ও মো. সিদ্দিক (বয়স দেওয়া নেই) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোদালকাটি গ্রামের জব্বার আলী (বয়স দেওয়া নেই)।

এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তালিকায় থাকা এই ১৫ জনের মাদক বেচাকেনায় যুক্ত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে মাদক ও চোরাচালানের মামলাও আছে।

নিরাময় না আসক্ত কেন্দ্র?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী, প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের একজন নওশাদ আলী। বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর মহল্লায়। একসময় উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ওয়ার্ড সভাপতি হয়েছিলেন। এখন পদে না থাকলেও দলে সক্রিয় আছেন।

নওশাদের দুই ছেলে জাহাঙ্গীর ও আলমগীরের বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। জাহাঙ্গীর গত বছর কুমিল্লায় ২ লাখ ইয়াবা বড়িসহ র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েন। পরে জামিনে মুক্তি পান। এর আগে টাঙ্গাইলে হেরোইনসহ ধরা পড়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গোদাগাড়ী থানায়ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। গোদাগাড়ী থানার পুলিশও তাঁকে একবার আটক করেছিল।

গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ি এলাকায় আছে ‘আসক্ত নিরাময় কেন্দ্র’ (আনিক)। এটি নওশাদ ও তাঁর ছেলেদের প্রতিষ্ঠান। নামে মাদক নিরাময় কেন্দ্র হলেও প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের মাদক ব্যবসা আড়াল করার একটি ঢাল বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন। যদিও নওশাদ আলী নিরাময়কেন্দ্রের আড়ালে মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২০১৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে এই নিরাময়কেন্দ্রে জুয়া খেলার সময় পুলিশ ১৯ জনকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকার ৫ নম্বরে থাকা নাজিবুর রহমানও ছিলেন। তাঁদের ছাড়াতে পরদিন সকালে অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী গোদাগাড়ী থানায় ভিড় করেন। বেলা তিনটার দিকে আটক ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর আগ পর্যন্ত তাঁরা থানায় ছিলেন। ৭ জানুয়ারি এই নিরাময়কেন্দ্রে গিয়ে ৭ জন রোগী পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীর দাওয়াতে সাংসদ

নিরাময়কেন্দ্রের মালিক নওশাদ আলীর বাড়িতে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী দুবার দাওয়াত খেয়েছেন। নওশাদ আলী প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সাংসদ ওমর ফারুক একবার তাঁর বাসায় এসে শুধু চা খেয়েছিলেন। আরেকবার ছোট মাছ আর শাক দিয়ে ভাত খেয়েছিলেন।

নওশাদ আলীর বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি ফারুক চৌধুরীও। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ভোটের আগে তিনি দলবল নিয়ে গিয়েছিলেন। ভোটের জন্য তাঁরা যেভাবে যান, ঠিক সেভাবে।

তালিকার ৯ নম্বরে নাম আছে সেতাবুর রহমান আগে বিএনপির সমর্থক ছিলেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কর্মী এবং মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বাড়ি মাটিকাটা স্কুলের পাশে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, সেতাবুর একজন বড় মাদক ব্যবসায়ী। সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী তাঁর বাড়িতেও অনুসারীদের নিয়ে দাওয়াত খেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেতাবুর। তবে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সেতাবুরকে সাংসদ ফারুক চৌধুরীর পাশে দেখা যায়। এ বিষয়ে সাংসদ বলেন, এলাকায় গেলে অনেকেই তাঁদের কাছে আসেন। কাউকে তো তাড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সাংসদের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের ছবি

তালিকার ৮ নম্বরে আছে গোদাগাড়ীর উজানপাড়া (বাইপাস) এলাকার সোহেল রানার নাম। তাঁর বাবার নাম মজিবর। আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি মাটিকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক। সোহেলকে গত বছরের ৬ জুন গোদাগাড়ী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। ওই সময় থানার ওসি হিপজুর মুন্সী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সোহেল রানা একজন বড় মাদক ব্যবসায়ী। তিনি মাদক ব্যবসা করে অনেক টাকা আয় করেছেন।

অবশ্য সোহেল রানা জেল থেকে বের হওয়ার পরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁর নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল।

এই সোহেল রানা ফেসবুকে প্রোফাইল হিসেবে যে ছবি ব্যবহার করেছেন, তাতে তাঁর সঙ্গে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী রয়েছেন। এ ব্যাপারে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘সোহেলের সঙ্গে আরও বড় বড় নেতার ছবি রয়েছে। অথচ সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পরে আমার সঙ্গে তাঁর ছবি দিয়ে পত্রিকায় খবর বের হলো। এটা তো ঠিক না।’

সোহেল ফেসবুকে ‘কভার ছবি’ হিসেবে ব্যবহার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের গলায় মালা পরানোর ছবি। আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোহেল রানা দলের ছেলে। দলের সব অনুষ্ঠানে আসেন। রাজশাহী নিউমার্কেটে সোহেলের দোকান রয়েছে। সেখানে আমাদের যাওয়া-আসা রয়েছে। এখন ভেতরে-ভেতরে কে কী করে, তা তো আর বাইরে থেকে জানা যায় না। কতজন এসে মালা দেয়। কাকে কী বলবেন?’

গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, সোহেলের বাবা বাসচালক ছিলেন। তাঁর নিজের কোনো জমি নেই; চাকরিও নেই। এরপরও মাত্র আট-দশ বছরের মধ্যে তিনি কীভাবে অনেক টাকার মালিক হয়ে গেলেন, এ প্রশ্ন অনেকেরই। বর্তমানে রাজশাহী নিউমার্কেটে সোহেলের চারটা দোকান, নগরের ছোট বনগ্রাম এলাকায় তাঁর তিনতলা বাড়ি, গ্রামে আলিশান বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সোহেল রানা আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতা নন। ছোটখাটো পদে থাকতে পারেন। দলীয় সুবিধা নেওয়ার জন্য তিনি নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটা দুঃখজনক। বিষয়টি নেতাদেরও খেয়াল করা উচিত।

তালিকার ১০ নম্বরে আছে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর মহল্লার টিপুর (২৫) নাম। তিনি এলাকায় একজন বড় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। টিপু তাঁর ফেসবুকে যে কভার ছবিদিয়েছেন, তাতে তাঁকে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফুলের তোড়া দিতে দেখা যায়।

একইভাবে গোদাগাড়ীর বড় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত নাসির উদ্দিন ওরফে নয়ন। তাঁর নাম তালিকায় নেই। তবে তাঁর বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় মাদক মামলা রয়েছে। নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, উড়োজাহাজ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরী নামার পর তাঁর পাশে পাশে হেঁটে আসছেন নাসির।

সাংসদ ওমর ফারুক বলেন, তিনি বিমান থেকে নামলে অনেকেই গিয়ে পাশে দাঁড়ান। তখন তো কাউকে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তবে নাসির উদ্দিন দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে সাংসদের সুসম্পর্ক রয়েছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, তালিকায় কীভাবে নাম এল, তিনি বুঝতে পারছেন না।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই তালিকা ধরে কাজ করছেন।

পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাংসদের নাম এসেছে, সেটার কী হবে? এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নামটা রাজনৈতিক কারণে তালিকায় আসতে পারে। কারণ, গোদাগাড়ীর তৃণমূল থেকে ওপর পর্যন্ত অনেকেই মাদকের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক কারণে অনেক কর্মীই তাঁর সংস্পর্শে যেতে পারেন। এটা দিয়েই তাঁর সংশ্লিষ্টতা বোঝা যায় না।

অবশ্য সাংসদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক পাচারবিষয়ক একটি উপকমিটির আহ্বায়ক। সেখানে তাঁর করা সুপারিশের ভিত্তিতে এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হেরোইন ধরার পরে পরীক্ষাগারে গিয়ে তা পাউডার হয়ে যায়। এ জন্য তিনিই প্রথম সংসদে বলেছিলেন, একই সঙ্গে তিনটি সংস্থাকে দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। এখন তা-ই হচ্ছে। এটা অনেকের ভালো লাগার কথা নয়। এ কারণেও তাঁর নাম এভাবে জড়ানো হতে পারে।

ওসির সংশ্লিষ্টতা?

গত মাসে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সীর সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ আছে। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ধরে হয়রানি করেন। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরলেও অন্য ধারায় চালান দেন, যাতে আসামিরা দ্রুত জামিন পেয়ে যান।

সম্প্রতি ওসি হিপজুরের বদলির আদেশ হয়েছে। তবে তিনি এখনো দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। গোদাগাড়ীতেই থাকার জন্য তদবির করছেন বলে জানা গেছে।

রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক নিশারুল আরিফ বলেন, তদন্তে ওসি হিপজুর মুন্সীর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের আসামির এজাহার পাল্টে অন্য ধারায় চালান দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর তিনি তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এ জন্য সাধারণ বদলি নয়, তাঁর অন্য শাস্তি হতে পারে।