যাত্রীর অন্তর্বাসে ৪৩ স্বর্ণের বার

শুল্ক গোয়েন্দাদের সঙ্গে আটক হওয়া যাত্রী আনোয়ার হোসেন। ছবি: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সৌজন্যে
শুল্ক গোয়েন্দাদের সঙ্গে আটক হওয়া যাত্রী আনোয়ার হোসেন। ছবি: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সৌজন্যে

শুল্ক গোয়েন্দারা গতকাল সোমবার মধ্যরাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে এক যাত্রীর অন্তর্বাস থেকে ৪৩টি স্বর্ণের বার আটক করেছে। আটক সোনার ওজন ৪ কেজি ২৮৬ গ্রাম।

আটক যাত্রী নাম মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা বলে শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, আনোয়ার হোসেন এ বছর জানুয়ারিতে দুবার ঢাকা-সিঙ্গাপুর যাতায়াত করেছেন। গত বছর এই যাত্রী পাঁচবার বিদেশে গেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একজন লাগেজ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত দেন। এই সোনা রেজাউল নামের এক ব্যক্তির বলে আটক যাত্রী দাবি করেন। তিনি সিঙ্গাপুরে যাতায়াত টিকিট ও ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই সোনা বহন করছিলেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার বার। ছবি: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সৌজন্যে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার বার। ছবি: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সৌজন্যে

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন গত রাত নয়টায় সিঙ্গাপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহজালালে অবতরণের পর যাত্রীকে নজরদারিতে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পরে যাত্রীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তাঁর কাছে স্বর্ণ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে সুনির্দিষ্ট গোপন সংবাদ থাকায় এবং যাত্রীর কথাবার্তায় অসংগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাঁকে ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে শুল্ক গোয়েন্দারা যাত্রীর দেহ তল্লাশি করেন। পরে তাঁর অন্তর্বাসের ভেতরে কালো কাপড়ে বিশেষভাবে মোড়ানো অবস্থায় এই স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া সোনার বার। ছবি: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সৌজন্যে
উদ্ধার হওয়া সোনার বার। ছবি: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সৌজন্যে

আটক যাত্রী মো. আনোয়ার হোসেনকে শুল্ক আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন। তাঁকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হবে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।