প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও ফটক ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে একটি মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবন, জহুরুল হক হল, নীলক্ষেত, এফ রহমান হল, মুহসীন হল, বঙ্গবন্ধু হল এবং মলচত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে রাত সোয়া ১২টায় শেষ হয়।

মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদী। তিনি বলেন, ‘আমাদের আগের তিনটি দাবির সঙ্গে নতুন দাবি যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে প্রক্টরের পদত্যাগ। ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার চরম বহিঃপ্রকাশ। প্রক্টর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

আন্দোলনকারী শ খানিক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় টিএসসি থেকে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ৫০-৬০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান খান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলাটি করেন।

এদিকে এই ঘটনা ও রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

শাহবাগ থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মঞ্জুর হোসেন মানিক বলেন, প্রক্টরের কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলাটি করেন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন লাখ টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।