মুরাদনগরে আ.লীগের মুখোমুখি ছাত্রলীগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কাল শনিবার উপজেলা পরিষদ মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ওই সমাবেশ ঠেকাতে একই স্থানে পাল্টা ছাত্রসমাবেশের ডাক দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং উপজেলা ছাত্রলীগ কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের পক্ষে কাজ করছে। দুই নেতাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ছয়জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ দুটি ধারায় বিভক্ত। একপক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। আরেক পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম সরকার। উভয় নেতার মধ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে বিরোধ চলছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কাল দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে সমাবেশ ডাকে। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি রাখা হয় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনকে। অন্যদিকে একই সময়ে সমাবেশ ডাকে মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনকে প্রধান অতিথি রাখা হয়।

মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ হোসেন বলেন, ‘শনিবার দুপুরে আমরা উপজেলা পরিষদ মাঠে সমাবেশ ডেকেছি। এখন শুনেছি পাল্টা সমাবেশ ডেকেছে ছাত্রলীগ। বিষয়টি নিয়ে করণীয় কী, সে জন্য দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত হবে।’

মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও সাংসদের অনুসারী ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও সরকারের চার বছরের সাফল্য নিয়ে আমরা মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে ছাত্রসমাবেশের ডাক দিয়েছি। এটি আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডেকেছে। ওই সমাবেশ শনিবারই হবে।

তবে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। দুপক্ষকে আলাদা স্থানে সমাবেশ করার জন্য বলা হয়েছে।